Book Name:Jannat ke Qeemat
سُبْحٰنَ الله আপনারা শুনলেন তো! জান্নাত কতই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর এবং এতে আল্লাহ পাক কতো মহান নেয়ামত রেখেছেন, তাই আমরাও যদি জান্নাতের এই মহান নেয়ামতের অংশ পেতে চাই, আর আমাদের শেষ ঠিকানা জান্নাত হোক এটা চাই, তাহলে আমাদের জীবদ্দশায় জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার আমল করতে হবে। একটি আমল তো আপনারা শুনলেন যে, মীমাংসা করানো জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ। আসুন! জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার মত কিছু আমলের ব্যাপারে আমরা শ্রবণ করি। এখানে এই বিষয়টি হৃদয়ে গেঁথে রাখবেন যে, জান্নাতে যাওয়ার জন্য ঈমান আনার সাথে সাথে উত্তম আমল হওয়াও অনেক জরুরী। কুরআনে করীমে প্রায় ৫৬ থেকে অধিক স্থানে নেক ও উত্তম আমলের আলোচনা করা হয়েছে। কতিপয় নেক আমল সম্পর্কে লক্ষ্য করুন: নামায পড়া, রোযা রাখা, যাকাত দেয়া, হজ্ব করা, অধিক হারে নফল আদয় করা, সত্য বলা, মুসলমানকে খাবার খাওয়ানো, সদাচরণ করা, ইলমে দ্বীন শিক্ষা দেয়া, সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা, একে অপরের হক আদয় করা ইত্যাদি।
সবেদনা অর্থাৎ মুসিবতগ্রস্থ মানুষকে ধৈর্য ধারণ করার শিক্ষা উপদেশ একটি অনেক প্রিয় ও জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ, তাই হযরত জাবের رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী, হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি কোন বিপদ গ্রস্থ ব্যক্তিকে সমবেদনা জ্ঞাপন করবে আল্লাহ পাক তাকে তাকওয়ার পোশাক পরিধান করাবেন আর রূহ সমূহের মাঝে তার রূহের প্রতি রহমত অবতীর্ণ করবে এবং যে কোন বিপদ গ্রস্থ ব্যক্তিকে সমবেদনা জ্ঞাপন করবে আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতে এমন দু’টি জোড়া পরিধান করাবেন, যার মূল্য দুনিয়াতেও হতে পারে না। (মুজামুল আউসাত, ৬/ ৪২৯, হাদীস: ৯২৯২)
তাই আমাদেরও উচিত, মুসলমানের সমবেদনা জ্ঞাপন করে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার মতো এই আমলকে নিজের মধ্যে ধারণ করা এবং এর বরকত অর্জন করা। اَلْحَمْدُ لِلّٰه নেক আমলের পুস্তিকাতেও মুসলমানের সমবেদনা ও কুশল বিনিময় করা সম্বলিত একটি আমলও অন্তর্ভূক্ত, যেমন নেক আমল নং ৬১: এই সপ্তাহে কি কম পক্ষে একজন অসুস্থ বা অসহায় ব্যক্তির ঘরে বা হাসপাতালে গিয়ে সুন্নাত অনুযায়ী সেবা-শুশ্রুষা অথবা