Jannat ke Qeemat

Book Name:Jannat ke Qeemat

() পরস্পরের সাথে মিলেমিশে থাকাটা আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয় কারণ আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিনও তাঁর বান্দাদের মাঝে আপোষ করিয়ে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবেন * তাই আমরা যদি আল্লাহ পাক নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সন্তুষ্টি করতে চাই, * সমাজকে শান্তিপূর্ণ (Peaceful) দেখতে চাই, * ভালোবাসা বিবরণ করতে চাই, * জান্নাতে প্রবেশ করতে চাই, * জান্নাতের নেয়ামত ভোগ করতে চাই, কিয়ামতের দিন অপমান লাঞ্ছনা থেকে বাঁচতে চাই, তাহলে আমাদের উচিত পরস্পরের মাঝে আপোষ করার অভ্যাস গড়ে তোলা আর জান্নাতের অধিকারীদের এই অভ্যাসটি ব্যাপকহারে করা উচিত সাহস করুন নিজের স্বার্থে সংগঠিত ঝগড়া-বিবাদ থেকে দ্রুত মুসলমানের সাথে আপোষ করে নিন যদিও আপনি বড় হন, যদিও দোষ আপনার নয় اَلْحَمْدُ لِلّٰه এমন আপোষ করা আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত এবং আল্লাহ পাক কুরআনে করীমেও আপোষ করার নির্দেশ দিয়েছেন: যেমন পারা ২৬ সূরা হুজরাত আয়াত ১০ ইরশাদ করেন:

اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ  اِخۡوَۃٌ  فَاَصۡلِحُوۡا بَیۡنَ اَخَوَیۡکُمۡ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ  لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ (۱۰)

(পারা ২৭, সূরা হুজরাত, আয়াত ১০)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: মুসলমান-মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই সুতরাং আপন দুভাইয়ের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও এবং আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমাদের উপর দয়া করা হয়

    অনুরূপ হাদীসে মোবারাকাতেও আপোষ করার ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে

রোযা, নামায ও সদকা থেকে উত্তম আমল

    রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আমি কি তোমাদেরকে রোযা, নামায সদকা থেকে উত্তম আমলের কথা বলবো না? সাহাবাগণ আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! অবশ্যই বলুন: ইরশাদ করলেন: সেই আমল হলো পরস্পর মতবিরোধীদের মাঝে মীমাংসা করিয়ে দেয়া, কেননা মতবিরোধ কারীদের মাঝে হওয়া ফ্যাসাদ কল্যাণকে দূরীভূত করে দেয় (আবু দাউদ, / ৩৬৫, হাদীস: ৩৯১৯)