Book Name:Nazool e Quran Ka Aik Maqsid
وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ (۸)
(পারা: ৩০, সূরা: যিলযাল, আয়াত: ৭-৮) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং যে অণু পরিমাণ সৎ কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে এবং যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে তাও দেখতে পাবে।
হযরত লুকমান হাকীম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যিনি আল্লাহর একজন নেক বান্দা, আল্লাহ পাক তাঁকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করেছিলেন, তিনি তাঁর পুত্রকে উপদেশ দিয়েছেন, যা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে, তিনি বলেন:
یٰبُنَیَّ اِنَّہَاۤ اِنْ تَکُ مِثْقَالَ حَبَّۃٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَکُنْ فِیْ صَخْرَۃٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِہَا اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ (۱۶(
(পারা: ২১, সূরা: লুকমান, আয়াত: ১৬) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে আমার বৎস ! মন্দকাজ যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় অতঃপর তা কঙ্করময় ভূমিতে কিংবা আসমানসমূহে অথবা যমিনের মধ্যে যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ সেটা উপস্থিত করবেন নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক সুক্ষ্ম বিষয়ের জ্ঞাত অবহিত।
জানা গেল; মন্দ যতই ছোট হোক আর যতই গোপনে করা হোক না কেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক সেই মন্দকাজকে সামনে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পাক প্রতিটি ছোট থেকে ছোট, সুক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত ও অবগত।
হে আশিকানে-রাসূল! এটা হলো يوم الجمع তথা (একত্রিত হওয়ার দিন), কুরআন শরীফ সেই দিনের ভয় হৃদয়ে বৃদ্ধি করার জন্য নাযিল হয়েছে, এটাই সেই ভয় সেই ভীতি বর্তমানে যা আমাদের সমাজের, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অতীব জরুরী। হায়! আমাদের যেন সত্যিকারার্থে সে দিনের ভয় নসিব হয়ে যায়।
(১): রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: কিয়ামতের দিন প্রতিটি চোখ কাঁদবে, কিন্তু তিনটি চোখ কাঁদবে না, তন্মধ্যে একটি চোখ সেটাও গণ্য করেছেন যা আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করবে। (কানযুল উম্মাল, খণ্ড: ১৫, পৃষ্ঠা: ৩৫৬, হাদীস: ৪৩৩৫০) (২): হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, একদা আল্লাহর শেষ নবী রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন:
وَّ قُوْدُہَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَۃُ
(পারা: ২৮, সূরা: তাহরীম, আয়াত: ৬) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যার ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর।