Book Name:Nazool e Quran Ka Aik Maqsid

وَسَلَّم এর হৃদয় করুণায় ভরে গেল, তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এটি ভেবে বিষাদগ্রস্ত হয়ে গেলেন যে, আমার উম্মত যদি আজীবন অধিক পরিমাণে নেকী করে তবুও পূর্ববর্তী উম্মতদের সমপরিমাণ নেকী করতে পারবে না। এদিকে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হৃদয় মোবারক বিষাদগ্রস্ত হলো, ওই দিকে আল্লাহ পাকের রহমতের সাগরে জোয়ার এসে গেলো এবং আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সান্তনা দেওয়ার জন্য  তাকে "লাইলাতুল কদর" উপহার দিলেন। (তাফসীরে আযীযি, পারা: ৩০, সূরা: ক্বদর, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ২৫৭) সুতরাং ইরশাদ করেন:

اِنَّاۤ  اَنْزَلْنٰہُ  فِیْ  لَیْلَۃِ  الْقَدْرِ  ۚ(ۖ۱)
وَ مَاۤ  اَدْرٰىکَ مَا لَیْلَۃُ  الْقَدْرِ ؕ(۲)
  لَیْلَۃُ  الْقَدْرِ ۬ۙ خَیْرٌ  مِّنْ  اَلْفِ شَہْرٍ ؕ(ؔ۳)  تَنَزَّلُ الْمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوْحُ  فِیْہَا
بِاِذْنِ رَبِّہِمْ ۚ مِنْ  کُلِّ  اَمْرٍ ۙ(ۛ۴)  
سَلٰمٌ ۟ۛ ہِیَ حَتّٰی مَطْلَعِ  الْفَجْرِ  (۵)

(পারা: ৩০, সূরা: ক্বদর, আয়াত: ১-৫)            কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় আমি সেটা ক্বদরের রাতে অবর্তীর্ণ করেছি , এবং আপনি কি জানেন ক্বদর-রাত্রি কি  ক্বদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম, এতে ফিরিশতাগণ ও জিব্রাঈল অবতীর্ণ হয়ে থাকে, স্বীয় প্রতিপালকের আদেশে প্রত্যেক কাজের জন্য। ওটা শান্তি- ভোর উদয় হওয়া পর্যন্ত।

 

                        سُبْحَانَ الله! কতইনা মহিমা আমার আক্বা ও মাওলা মুহাম্মদ মুস্তফা
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর তিনি উম্মতের ব্যাপারে চিন্তিত হলেন, তো আল্লাহ পাক তাঁর মনতুষ্টির জন্য উম্মতকে শবে ক্বদরের মতো এক মহান নিয়ামত দান করলেন।

 

উম্মতে মোস্তফার একটি বিশেষত্ব

        আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী সরকার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উসিলায় শবে ক্বদরের উপহার প্রদান করেছেন। এই পুরস্কার, এই করুণা এই উম্মতের জন্য নির্দিষ্ট। পূর্বেকার উম্মতদেরকে শবে ক্বদর দান করা হয়নি, সুতরাং হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহপাকের প্রিয় নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাক আমার উম্মতকে শবে কদরের উপহার প্রদান করেছেন এবং তাদের পূর্বে অন্য কাউকে এই রজনী দান করা হয়নি।

(মুসনাদে ফেরদৌস, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৭৩, হাদীস: ৬৪৭)