Book Name:Nazool e Quran Ka Aik Maqsid

       হে আশিকানে-রাসূল! জানা গেলো; কুরআন নাযিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক উদ্দেশ্য এটাও যে, এই বরকতময় গ্রন্থের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে কিয়ামতের ভয়ভীতি সৃষ্টি করা।

 

কুরআন তেলাওয়াতের কতিপয় বরকত

        হে আশিকানে-রাসূল! এখন এখানে আমাদের জন্য শেখার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, প্রথমতঃ আমরা এই চিন্তা-ভাবনা করি যে, আমরা তেলাওয়াত করি কি-না, শবে ক্বদরে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্যই নাযিল হয়েছে। আমাদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ পাক এই পবিত্র কালাম অবতরণ করেন, এটা আমাদের প্রতি আমাদের প্রতিপালকের পবিত্র বার্তা, যদি আমরা কুরআন করীমের তেলাওয়াত না করি তবে এটি আমাদের জন্য অনেক বড় দুর্বলতা, এটি একটি ত্রুটি। আমাদের উচিত প্রতিদিন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা, যতটুকু করতে পারি, ততটুকু করা, এক রুকু, দুই রুকু, এক পারা, ২ পারা, ৪ পারা, যতটুকু আমরা করতে পারি ততটুকু করা, প্রতিদিন করা, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের অসংখ্য ফযিলত রয়েছে: পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা অতি উত্তম ইবাদত * কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ হয় * কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে হৃদয় আলোকিত হয় * কুরআন তেলাওয়াতের বরকতে চরিত্র সুন্দর হয় * কুরআন তেলাওয়াতের বরকতে পেরেশানি দূর হয় * দুঃখ-কষ্ট দূর হয় * বিপদ-আপদ দূর হয় * রিজিকে বরকত হয় * কুরআন তেলাওয়াতের বরকতে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভ হয় * কুরআন তেলাওয়াতের বরকতে কবরের আজাব থেকে মুক্তি লাভ হয় * এমনকি যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করবে, পবিত্র কুরআন কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

        অতএব, মুসলমান হয়েও যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে না সে আল্লাহর এই পবিত্র গ্রন্থ থেকে অনেক দূরে, তার উচিত পবিত্র কুরআনের সাথে তার সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং প্রতিদিনের নিয়মানুবর্তিতার সাথে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা।

 

তেলাওয়াতকারীর জন্য ভাবনার বিষয়

        হে আশিকানে-রাসূল! আমাদের মধ্যে যারা তিলাওয়াত করে এবং আমাদের মধ্যে যারা তিলাওয়াত করে না, তারা যখন তিলাওয়াতকারী হয়ে যায়, তখন আমাদের সবার জন্য একটি ভাবনার বিষয় রয়েছে; আর তা হলো পবিত্র কুরআন নাযিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক উদ্দেশ্য হলো এই কিতাবের মাধ্যমে অন্তরে কেয়ামতের ভয় বৃদ্ধি করা, এখন প্রশ্ন হলো আমরা তো তেলাওয়াত করছি, হাফেজ গণ হেফযও করেছেন, কারী সাহেবও পবিত্র কুরআন পড়াচ্ছেন, আমরা নিজেরাও তেলাওয়াত করছি, ভাবনার বিষয় হচ্ছে আমরা পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে আমাদের অন্তরে কিয়ামতের ভয় বৃদ্ধি করতে সফল হচ্ছি কি-না  আমরা যখন তেলাওয়াত করি তখন আমাদের অন্তর কি আল্লাহর ভয়ে কম্পন করে কি-না  চোখ থেকে পানি বের হয় কি-না  আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়ার ভয়ে আমরা কম্পিত হচ্ছি কি-না  যদি পবিত্র কুরআনের মাধ্যমেও কিয়ামত দিবসের, আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়ার ভয় অন্তরে বৃদ্ধি না হয়, তবে এটিও একটি বড় ঘাটতি। পবিত্র কুরআন নাযিলের অন্যতম মৌলিক উদ্দেশ্য হলো কিয়ামতের