Book Name:Nazool e Quran Ka Aik Maqsid
সম্পূর্ণরূপে না থাকার মতো হবে। আর এই (অধিকার নষ্ট না করা, কল্যাণের চেতনা থাকা) দু'টি জিনিসই আল্লাহভীতির মাধ্যমে অর্জন করা যায়, অর্থাৎ আমাদের অন্তরে যদি আল্লাহভীতি থাকে, তাহলে اِنْ شَآءَ الله! এর বরকতে অধিকার লঙ্গনের অবসান হবে এবং কল্যাণের চেতনাও তৈরি হবে। আসুন! এ বিষয়টি দু'টি ঘটনার আলোকে বুঝার চেষ্টা করি:
আল্লাহভীতির কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল
হযরত মিসআ'র বিন কিদাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত যে, একদিন আমরা ইমামে আযম, ইমাম আবু হানিফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সাথে কোথাও যাচ্ছিলাম, অজান্তে ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর পা মোবারক একটি ছেলের পায়ের উপর পড়ে গেল, ছেলেটি চিৎকার মেরে উঠলো এবং তার মুখ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এলো: یَا شَیْخُ اَلَا تَخَافُ الْقِصَاصَ یَوْمَ الْقِیَامَۃِ অর্থাৎ হে বুযুর্গ! আপনি কি কিয়ামতের দিন নেয়া আল্লাহ পাকের প্রতিশোধকে ভয় পান না ব্যাস এই ছেলেটির কথা শোনার সাথে সাথেই ইমাম আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মাঝে কম্পন সৃষ্টি হয়ে গেল এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে জমিনে লুটিয়ে পড়লেন। (অশ্রুর বারিধারা, পৃষ্ঠা: ১৭)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনুমান করুন! ইমাম আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মোবারক পা কেবল অনিচ্ছাকৃতভাবে ওই বালকটির পায়ে পড়েছিল তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এরূপ করেননি, সেই ছেলেটির জিহ্বা থেকেও এই বাক্যটি অজান্তে বেরিয়েছিল, কিন্তু এই বাক্যে কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে উপস্থিতির কথা উল্লেখ ছিল, ইমাম আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর যখনই আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার কথা মনে পড়ল তার মাঝে কম্পন সৃষ্টি হয়ে গেল এবং তিনি বেহুশ হয়ে জমিনে লুটিয়ে পড়লেন। একটু ভাবুন! যে ব্যক্তি আল্লাহকে এত ভয় পায় * সে কি কারো হক নষ্ট করবে * সে কি কাউকে গালি দেবে * সে কি কারো টাকা আত্মসাৎ করবে সে কি অন্যায়ভাবে কাউকে কষ্ট দিবে * সে কি অন্যের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে * সে কি অন্যদের উপর অপবাদ রটাবে মোটেও না, বরং যেআল্লাহভীরু হবে, সবসময় অন্যের হকের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। জানা গেল; যদি আমাদের আল্লাহভীতির নেয়ামত নসিব হয়ে যায় তাহলে সমাজ থেকে অপরাধ এবং অধিকার লঙ্ঘন একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে কবর ও আখেরাতে চিন্তা ভাবনা এবং আল্লাহভীতির অমূল্য সম্পদ নসিব করুন।
اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم