Aal e Nabi Ke Fazail

Book Name:Aal e Nabi Ke Fazail

পবিত্র আওলাদের সংখ্যা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা শুনেছি! নবী পরিবারের মারিফাত (অর্থাৎ পরিচয়, যেমন তাঁদের ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করা তাঁদের মূল্যায়ন সম্পর্কে অবগত হওয়া ইত্যাদি) জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় আসুন! আওলাদে মুস্তফা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করি:

          ওলামায়ে কেরাম ব্যাপারে একমত যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শাহজাদী ৪ জনই, (৩ জনও নয়, ৫ জনও নয়) তবে শাহজাদাদের সংখ্যার মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। সিংহভাগ ওলামায়ে কেরামের মতে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র সন্তানের সংখ্যা ৭ জন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন শাহজাদী: (১) হযরত যায়নাব (২) হযরত রুকাইয়া (৩) উম্মে কুলসুম (৪) হযরত ফাতিমাতুয যাহরা এবং তিনজন শাহজাদা হলেন: (৫) হযরত কাসিম (৬) হযরত আব্দুল্লাহ এবং (৭) হযরত ইব্রাহীম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ

          হুযুরে আক্বদাস صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সকল শাহজাদা অল্প বয়সেই ইন্তেকাল করেছেন। অবশ্য শাহজাদীগণ দীর্ঘায়ু লাভ করেন, হযরত যায়নাব, হযরত রুকাইয়া ও হযরত উম্মে কুলসুম رَضِیَ اللهُ عَنْہُن তো প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর জাহেরী হায়াত মুবারকে মৃত্যুবরণ করেছেন। চতুর্থ শাহজাদী হযরত ফাতিমাতুয যাহরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর জাহেরী ওফাতের পরও জীবিত ছিলেন। প্রথম তিন শাহজাদীর বংশ বিস্তার হয়নি, শুধু হযরত ফাতিমাতুয যাহরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا র বংশ বিস্তার হয় বর্তমানে দুনিয়াতে যত সৈয়দ রয়েছেন তারা সবাই হযরত ইমাম হাসান মুজতবা এবং হযরত ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُما এর আওলাদ।  

 

          আওলাদে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য মাকতাবাতুল মদীনার সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ “প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শাহজাদী ও শাহজাদাগণ” পাঠ করে নিন!

 

আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীর পরিণাম

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যেমনিভাবে আওলাদে মুস্তাফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করার অসংখ্য ফযিলত ও বরকত রয়েছে, তদ্রূপ তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ করার মধ্যেও রয়েছে কঠিন শাস্তিবার্তা। যেমনটি

 

আহলে বাইতের সাথে শত্রুতা পোষণকারী জাহান্নামী

       হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যদি কোনো ব্যক্তি কাবা শরীফ ও মাকামে ইব্রাহীমের মাঝখানে নামায আদায় করে এবং সেখানে থেকে রোযা রাখে অতঃপর সে আহলে বাইতের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে মারা যায় তবে সে জাহান্নামে যাবে। (মুজামে কবীর, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৩১৯, হাদীস: ১১২৪৯)