Book Name:Aal e Nabi Ke Fazail
পবিত্র বংশধরগণ
কিয়ামত পর্যন্ত এই পৃথিবীর জন্য নিরাপত্তা। হাদীস শরীফে রয়েছে:
النُّجُومُ
امَانٌ الأَهْلِ السَّمَاءِ وَأَهْلُ بَيْقِ اَمَانُ لِأَهْلِ الْأَرْضِ অর্থাৎ নক্ষত্র আকাশবাসীদের
জন্য নিরাপত্তা এবং আমার আহলে বাইত পৃথিবীবাসীর জন্য নিরাপত্তা। (ফাযাইলুস সাহাবা লিআহমদ
ইবনে হাম্বল,
অধ্যায়:
২, পৃষ্ঠা: ৫৭১, হাদীস: ১১৪৫) একটি রেওয়ায়েতে রয়েছে:
আমার আহলে বাইত পৃথিবীবাসীর জন্য নিরাপত্তা, যখন আমার আহলে বাইত থাকবে না, তখন পৃথিবীবাসীর উপর সেই নিদর্শনগুলো
আবির্ভূত হবে যা তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ।
(আশ শারফুল মুআব্বাদ লিআলি মুহাম্মাদ, পৃষ্ঠা: ৩২)
ওলামায়ে কেরাম বলেন: দুনিয়া থেকে সৈয়দজাদাদের চলে যাওয়া কেয়ামতের অন্যতম নিদর্শন, অর্থাৎ যখন পৃথিবীতে একজন সৈয়দজাদা থাকবে না তখন কিয়ামত সংগঠিত হবে। আর এর মধ্যে হিকমত হলো, কিয়ামত নিকৃষ্ট লোকদের উপর সংগঠিত হবে আর সৈয়দজাদাগণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। (আশ শারফুল মুআব্বাদ লিআলি মুহাম্মাদ, পৃষ্ঠা: ৩৩)
হে আশিকানে সাহাবা ও আহলে বাইত! মনে রাখবেন, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র সন্তানদের ভালবাসা দ্বীনের অংশ, অতএব প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সকল শাহজাদা ও সকল শাহজাদীদের ভালবাসা ও সম্মান করা, হাসনাইন কারীমাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُما থেকে আজ পর্যন্ত সকল সৈয়দজাদাদের প্রতি ভালোবাসা রাখা ও সম্মান করা আমাদের সকলের জন্য আবশ্যক। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
قُلْ لَّاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْہِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّۃَ فِی الْقُرْبٰی ؕ
(পারা:২৫, সূরা: শুরা, আয়াত: ২৩) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আপনি বলুন, ‘আমি সেটার জন্য তোমাদের নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক চাইনা, কিন্তু চাই নিকটাত্নীয়তার ভালোবাসা।
আল্লামা বাগভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেছেন: উক্ত আয়াতের একটি অর্থ হলো, (হে লোক সকল! আমি তোমাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেই, তোমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ তোমাদের নিকট পৌছে দেই) এর পরিবর্তে আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন ধরনের প্রতিদান, কোন বিনিময় চাই না, অবশ্য! আমি তোমাদেরকে আত্মীয়তার ভালবাসার উপদেশ দিচ্ছি। এ থেকে জানা গেল; প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ভালবাসা, তাঁর স্বজনদের ভালোবাসা দ্বীনের অন্যতম ফরয।
(তাফসীরে বাগভী, পারা: ২৫, শুরা, ২৩ নং আয়াতের পাদটীকা, খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ৮১)
ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না
নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: لَا يُؤْ مِنْ عَبْدٌ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ অর্থাৎ কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট তার প্রাণের চেয়ে বেশি প্রিয় হবো না وَذَاتی اَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ ذَاتِهِ এবং আমার সত্তা তার নিকট তার সত্তা থেকে অধিক প্রিয় হবে না, وَتَكُونَ عِتْرَتى أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ عِتْرَتِهِ এবং আমার সন্তানরা তার কাছে তাদের