Book Name:Aal e Nabi Ke Fazail
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সাপ্তাহিক ইজতিমার হালকার শিডিউল ১৮ জুলাই ২০২৪ইং
(১) সুন্নাত ও আদব শেখা: ৫
মিনিট, (২) দোয়া শেখা: ৫ মিনিট,
(৩)
পর্যালোচনা: ৫ মিনিট। মোট সময়কাল- ১৫ মিনিট।
সৈয়দজাদাদের সম্মানের ব্যাপারে অবশিষ্ট মাদানী ফুল
* প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের মধ্যে এটাও অন্তর্ভুক্ত যে, যে সমস্ত বস্তু প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে সম্পর্কিত সেগুলোর সম্মান করা। (আশ শিফা, পৃষ্ঠা: ৫২, অধ্যায়: ২) (সাদাতে কেরাম কি আযমত, পৃষ্ঠা: ৮) * সম্মানের জন্য না বিশ্বাসের প্রয়োজন এবং না কোন বিশেষ সনদের প্রয়োজন, যারা সৈয়দজাদা দাবি করে তাদের সম্মান করা উচিত। (সাদাতে কেরাম কি আযমত, পৃষ্ঠা: ১৪) * যে সত্যিকারে সৈয়দজাদা নয় এবং জেনে বুঝে সৈয়দ দাবি করে, সে অভিশপ্ত। তার ফরয কবুল হবে না, নফলও কবুল হবে না। (সাদাতে কেরাম কি আযমত, পৃষ্ঠা: ১৬) * যদি কোন বদমাযহাব সৈয়দ হওয়ার দাবি করে এবং তার বদমাযহাবী কুফর পর্যন্ত পৌঁছে যায় তবে কখনো তার সম্মান করা যাবে না। (সাদাতে কেরাম কি আযমত, পৃষ্ঠা: ১৭) * সৈয়দজাদাদের প্রতি সম্মান, আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সম্মান। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, ২/২৩) (সাদাতে কেরাম কি আযমত, পৃষ্ঠা: ৮) * শিক্ষকেরও সৈয়দকে প্রহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। (কুফরীয়া কালিমাত কে বারে মে সাওয়াল জাওয়াব, পৃষ্ঠা: ২৮৪) * সৈয়দজাদাদের এমন কাজে নিয়োগ করা যেতে পারে যাতে অপমান করা হয় না, তবে অপমানজনক কাজে তাদের নিয়োগ করা জায়েয নয়। (সাদাতে কেরাম কি আযমত, পৃষ্ঠা: ১২) * সৈয়দকে সৈয়দ হিসেবে অপমান করা কুফরী। (কুফরীয়া কালিমাত কে বারে মে সাওয়াল জাওয়াব, পৃষ্ঠা: ২৭৬)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দা’ওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতেমার শিডিউল অনুযায়ী “তারকা দেখার সময়কার দোয়া” মুখস্ত করানো হবে। দোয়াটি হলো:
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ ہٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَکَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ (۱۹۱)
(পারা: ৪, আলে ইমরান, আয়াত: ১৯১)
অনুবাদ: হে আমাদের রব! তুমি এটা নিরর্থক সৃষ্টি করোনি; পবিত্রতা তোমারই, সুতরাং আমাদেরকে দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা করো। (খাযিনায়ে রহমত: পৃষ্ঠা: ৭০)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: (আখিরাতের বিষয়ে) এক মুহূর্তের জন্য চিন্তা ভাবনা করা ৬০ বছরের (নফল) ইবাদত থেকে উত্তম।
(জামিউস সগীর লিস সুয়ুতী, পৃষ্ঠা- ৩৬৫, হাদীস নং-৫৮৯৭)
আসুন! নেক আমলের পুস্তিকা পূরণ করার আগে “ভালো ভালো নিয়্যত” করে নিই।