Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

Book Name:Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

সম্মানের মোহে পড়েই কারবালার নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে। এই অত্যাচারী ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে তার ক্ষমতার জন্য হুমকি বোধ করেছিলো, অথচ ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর অস্থায়ী ক্ষমতার সাথে কোন সম্পর্কই নেইতিনি তো পূর্বেও মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের মুকুট ছিলেন, আজও আছেন এবং চিরকাল থাকবেন।

 

সম্মান ও সম্পদের ভালোবাসার নিন্দা

          আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ আরও বলেন: সম্মান ও সম্পদের ভালোবাসা একটি খুবই খারাপ বিপদ। আমাদের প্রিয় আক্বা মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়েকে যদি ছাগলের পালে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে তা এতটা ক্ষতি করবে না, যতটা সম্পদ ও সম্মানের লোভ মানুষের দ্বীনকে ক্ষতি সাধন করে। (তিরমিযী, কিতাবুয যুহুদ, পৃষ্ঠা ৫৬৫, হাদীস ২৩৮৩)

          নবীদের সর্দার, মক্কী মাদানী তাজেদার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: حُبُّ الدُّنیا رَاْسُ کُلِّ خَطِیْئَۃٍ অর্থাৎ দুনিয়ার ভালোবাসা সমস্ত মন্দের মূল। (জামেউল উসুল ফি আহাদিসির রাসূল, কিতাবুস সালিস ফি যম্মিদ দুনিয়া, /৪৫৭, হাদীস ২৬০৩) নিকৃষ্ট ইয়াযীদের অন্তর যেহেতু নশ্বর দুনিয়ার ভালোবাসায় মত্ত ছিল, তাই সে খ্যাতি ও ক্ষমতার লালসায় মগ্ন হয়ে গেলো এবং এই লালসা তাকে তার পরিণতি সম্পর্কে উদাসিন করে ইমামে আলী মকাম এবং তাঁর সাথীদের অন্যায়ভাবে রক্তপাত করানো পর্যন্ত নিয়ে যায় যে ক্ষমতার জন্য সে কারবালায় অত্যাচার ও নিপীড়নের ঝড় তুলেছিল, সেই ক্ষমতা তার জন্য খুবই ক্ষণস্থায়ী প্রমাণিত হয়েছিল। দুর্ভাগা ইয়াযীদ মাত্র ৩ বছর ৬ মাস শাসন করে ৬৪ হিজরীতে ৩৯ বছর বয়সে শিক্ষণীয়ভাবে মারা যায়

(ইমাম হুসাইনের কারামত, পৃষ্ঠা ৩১)

 

বয়ানের সারসংক্ষেপ

          হে আশিকানে রাসূল! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আমরা হুসাইনী, আমরা ইমামে আলী মকাম, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে ভালোবাসার দাবী করি ইমামে আলী মকাম দুনিয়ার জন্য দ্বীনকে ছেড়ে দেননি বরং সত্য দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য ৭২ জনের কুরবানী দিয়েছেন। আমাদেরও উচিত যে, আমরা যেন সত্যিকারের হুসাইনী হওয়ার প্রমাণ দিই, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর চরিত্রের পথে চলি, দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করি, এর উপর আমল করি, সুন্নাত শিখি, সুন্নাতের উপর নিজেও আমল করি এবং অন্যদের নিকটও পৌঁছে দিই। নিকৃষ্ট ইয়াযীদ ফাসিক ছিলো, পাপী ছিলো, সুন্নাত পরিবর্তনকারী ছিলো, উপহাসকারী ছিলো, অত্যাচারী ছিলো, মদ্যপায়ী ছিলো, দুনিয়ার ভালোবাসায় মত্ত ছিলো তাই আমাদের উচিত যে, তার মতো খারাপ চরিত্র থেকে বেঁচে থাকা, আমরা হুসাইনী, কথায়ও হুসাইনী হই এবং চরিত্র ও আচরণেও হুসাইনী হই।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                                                                                               صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          হে আশিকানে রাসূল! মুহররামের ১০ তারিখে শহীদদের সর্দার হযরত ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ইসালে সাওয়াবের আয়োজন করুন, ঘরে ঘরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন