Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

Book Name:Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

          হে আশিকানে সাহাবা ও আহলে বাইত! কেমন শিক্ষণীয় বিষয়! ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর মাথা মুবারকের প্রতি সম্মান দেখানোর বরকতে একজন অমুসলিমের ঈমানের দৌলত নসিব হয়ে গেলো আর অন্যদিকে ইয়াযীদি দূর্ভাগাদের উপর অভিশাপ পড়লো, তাদেরকে কুকর্মের প্রতিফলের একটি আভাস দেখানো হলো, তাদের স্বর্ণ ও রূপার মুদ্রা কাঁকর হয়ে গলো এটি কুদরতের পক্ষ থেকে একটি শিক্ষা ছিলো যে, হে দুর্ভাগারা! তোমরা এই নশ্বর দুনিয়ার জন্য দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে, রাসূলের পরিবারের উপর অত্যাচার ও নিপীড়নের পাহাড় ভাঙ্গলে...!! মনে রেখো! দ্বীনের প্রতি তোমরা চরম অবহেলা করলে এবং যে নশ্বর ও বেইমান দুনিয়া অর্জনের জন্য এমনটি করেছো, তাও তোমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে, তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                                                                                               صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ফযিলত

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইমামে আলী মকাম, ইমামে তীষ্ণাকাম, ইমাম হযরত ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সত্তাতার নাম হলো: হুসাইন, উপনাম: আবু আব্দুল্লাহ, উপাধি: সিবতে রাসূল তথা রাসূলের নাতি এবং রায়হানাতুর রাসূল তথা রাসূলের ফুল

(কারামতে ইমাম হুসাইন পৃষ্ঠা: ৩)

 

          (১) প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: حُسَيْنٌ مِنِّي وَاَنَا مِنْ حُسَيْنٍ، اَحَبَّ اللَّهُ مَنْ اَحَبَّ حُسَيْنًا অর্থাৎ হুসাইন আমার থেকে আর আমি হুসাইন থেকে, যে হুসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন। (তিরমিযী, পৃষ্ঠা ৮৫৭, হাদীস: ৩৭৮২) (২) একটি হাদীসে রয়েছে: যে হাসান ও হুসাইনকে ভালবাসল, সে আমাকে ভালবাসল, আর যে তাদের সাথে শত্রুতা করল সে আমার সাথে শত্রুতা করল। (মুস্তাদরাক, খণ্ড: , পৃষ্ঠা ১৮২, হাদীস ৪৭৭৭) (৩) বুখারী শরীফে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর শেষ নবী রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: هُمَا رَيْحَانَتَايَ مِنَ الدُّنْيَا অর্থাৎ হাসান ও হুসাইন দুনিয়াতে আমার দুটি ফুল। (বুখারী, পৃষ্ঠা ৯৪৯, হাদীস ৩৭৫৩) (৪) তিরমিযী শরীফে বর্ণিত রয়েছে: হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের সর্দার। (তিরমিযী পৃষ্ঠা: ৮৫৫ হাদীস: ৩৭৭৫) ইমামে আলী মকাম, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ৫ই শাবান ৪ হিজরীতে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। (ইমাম হুসাইনের কারামত, পৃষ্ঠা ৩) ৫৫ বছর ৫ মাস ৫ দিন এই পৃথিবীতে অবস্থান করেন। ১০ই মুহাররামুল হারাম, ৬১ হিজরী শুক্রবার চরম নিপীড়নের মধ্য দিয়ে শাহাদাত বরণ করেন। (সাওয়ানিহে কারবালা, পৃষ্ঠা ১৭০) তিনি সত্যের উপর অবিচল, বীরত্ব, অটল ও ধৈর্য্য ও সন্তুষ্টির চিরন্তন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

 

জমিন ও আকাশ কাঁদলো, রক্তের বৃষ্টি হলো

          আল্লামা ইবনে হাজর মক্কী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: যখন হযরত ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ শহীদ হন, তখন সূর্যগ্রহণ লাগলো, আকাশ লাল হয়ে গেলো, তিন দিন ধরে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলো, এমনকি দিনে তারকা দেখা যেতে লাগলো কয়েক দিন পর্যন্ত আকাশ থেকে রক্তের বৃষ্টি হতে লাগলো, যার ফলে দেয়াল এবং ভবনগুলো রঙিন হয়ে গেলো যে কাপড় সেই রঙে রঙিন