Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

Book Name:Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

তার অভ্যাস ছিল মন্দ, সে ছিল সীমালঙ্ঘনকারী, সে ছিল পাপিষ্ঠ, ইয়াযীদ কুরআন ও সুন্নাতের বিরোধিতা করতো, তাই ইমাম হুসাইন  رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেননি এবং এমন চিরন্তন কুরবানী দিলেন।

 

          এবার একটু ভাবুন তো! ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখন ইয়াযীদের মন্দ চরিত্রে সন্তুষ্ট হননি, তো আমরাই যদি সেই চরিত্রের অধিকারী হই, ইয়াযীদের যে মন্দ অভ্যাস ছিল, সেরকম মন্দ অভ্যাস যদি আমাদেরও থাকে, ইয়াযীদের যেমন নোংরা নৈতিকতা ছিল, সেরকম যদি আমাদেরও থাকে, তবে কি ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আমাদের উপর খুশি হয়ে যাবেন?

 

          আসুন! দেখি; ইয়াযীদের চরিত্র কেমন ছিল? নাপাক ইয়াযীদের সেই মন্দ অভ্যাস গুলো কী কী ছিল যার কারণে ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান:

 

(১) ইয়াযীদ সুন্নাত পরিবর্তনকারী ছিল

          সর্বশেষ নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَوَّلُ مَنْ یُبَدِّلُ سُنَّتِی رَجُلٌ مِّنْ بَنِیْ اُمَیَّۃَ یُقَالُ لَہٗ یَزِیْدُ অর্থাৎ আমার সুন্নাত পরিবর্তনকারী প্রথম ব্যক্তি বনু উমাইয়া থেকে হবে, যার নাম হবে ইয়াযীদ

(তারিখে দামেশক, খণ্ড: ৬৫ পৃষ্ঠা ২৫০)

 

          জানা গেল, ইয়াযীদ ছিল সুন্নাত পরিবর্তনকারী, সুন্নাত বিরোধী কাজের প্রবর্তক, এই দুর্ভাগা নিজেও সুন্নাতে মুস্তাফার অনুসরণ করেনি এবং অন্যকেও সুন্নাত বিরোধী কাজ করতে উৎসাহিত করতো। এবার আমরা একটু নিজের সম্পর্কে ভাবি! আমরা কতটুকু সুন্নাতের উপর আমল করি? আমাদের পোষাক কি সুন্নাত অনুযায়ী? আমার জীবনযাপন, আমাদের উঠা, বসা, চলাফেলার ধরন, আমাদের চেহারা, আমাদের আচার-আচরন, আমাদের রীতিনীতি কি সবই সুন্নাত অনুযায়ী? আমাদের সমাজে যখন কেউ সুন্নাতের উপর আমল করে তখন কি লোকেরা তাকে কড়া কথা শোনায় না? মাথায় পাগড়ী সাজানো, চেহারায় দাড়ি রাখা, সুন্নাত অনুযায়ী পোষাক পরিধানকারীদের দিকে কি আঙ্গুল তোলা হয় না? সেই সুন্নাতের প্রেমিকের প্রতি কি বিদ্রুপের তীর ছোড়া হয় না...? আফসোস! এখনো মুসলমানের একটি বড় অংশ রয়েছে, যারা নিজেরা তো সুন্নাতের পথ থেকে দূরে, এর পাশাপাশি সুন্নাতের উপর আমলকারীদেরও বিদ্রুপের দৃষ্টিতে দেখে

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সুন্নাতের বিরোধিতা করা এবং সুন্নাত বিরোধী কাজ প্রবর্তন করা ইয়াযীদের কুঅভ্যাস। আমরা যদি হুসাইনী হই এবং আমরা সত্যিই হুসাইনী হতে চাই, তাহলে আমাদের উচিত যে, ইয়াযীদের এই কুঅভ্যাসকে ঘৃণা করা, আমরা নিজেও সুন্নাতের উপর আমল করা এবং অন্যদেরকেও সুন্নাতের অনুসরণ করতে উৎসাহিত করা।