Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

Book Name:Hum Ne Karbala Se Kia Seekha

এমন নেই, যখন ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অধৈর্য প্রদর্শন করেছেন। তিনি কখনোই এই দোয়া করেননি যে, হে আল্লাহ পাক! আমাকে এই পরীক্ষা থেকে মুক্তি দাও। তিনি ধৈর্য ও অটলতার সাথে ৫৫ বছরের জীবন কারবালার অপেক্ষায় কাটিয়েছেন এবং অবশেষে কারবালার ময়দানে আপন নানাজান, রহমতে রহমান صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দ্বীন রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার সহিত শাহাদাতের মর্যাদাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন।

          () অমুসলিম চিন্তাবিদ তৃতীয় বিষয়টি বলেছেন যে, যে সফলতার আকাঙ্ক্ষী থাকবে, তার জন্য জরুরি যে, সে যেনো চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতা রাখেঅর্থাৎ তার উপর যতই কঠিন সময়ই আসুক না কেন, সে তার চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতাকে কমতে দিবে না, সর্বদা, সর্বাবস্থায় চিন্তাভাবনা করে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নিবে এটি একটি খুবই কঠিন কাজ হয়ে থাকে আমাদের এখানে কারো মৃত্যু হলে তার পরিবারের লোকজনকে, পিতামাতাকে খুবই সতর্কতার সাথে সংবাদ দিতে হয়, যাতে হঠাৎ শোকের খবর শুনে বেহুঁশ হয়ে না যায় কিন্তু উৎসর্গ হয়ে যান! ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সাহস ও প্রেরণার কীরূপ শান...!! তিনি হযরত আলী আসগর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর লাশ মুবারক নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, হযরত আলী আকবর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর লাশ মুবারক তুলেছেন, ভাই, ভাতিজা, ভাগ্নে, ৭২ জন কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর চোখের সামনে শহীদ হয়েছেন, তিনি নিজে তাঁদের লাশ মুবারক তুলে তাঁবুর পাশে রেখেছেন, এমন দুঃখ ও বেদনার পরও তাঁর হুঁশ ও অনুভুতি বলবৎ, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বজায় রয়েছে ইতিহাসের কোনো বই থেকে পৃথিবীর কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কারবালার ময়দানে শোকের কারণে কোনো একটি সিদ্ধান্তও শরীয়তের পরিপন্থি নিয়েছেন, না! না...!! শোকের ঝড় বয়ে যাচ্ছে, অত্যাচারের পাহাড় ভেঙে পড়ছে এবং নবীর দৌহিত্র কুরআন ও সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরে প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পূর্ণ শরীয়ত অনুযায়ী গ্রহণ করছেন, শেষ পর্যন্ত শাহাদাতকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন কিন্তু তাঁর সাহস ও প্রেরণায় একটুও কমতি হয়নি

 

          হে আশিকানে রাসূল! এসব কথা বলার উদ্দেশ্য হলো যে, দেখুন! বর্তমানকার চিন্তাবিদরা সফলতা, উন্নতি ও বিপ্লবের যে পথ দেখান, লম্বা লম্বা লেকচার (Lecture) দেন, এই সবকিছু আজ থেকে প্রায় ১৩৮২ বছর পূর্বে শাহজাদায়ে কাওনাইন, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ করে দেখিয়েছেন, কারবালার ময়দানে এই সমস্ত চিত্র বিদ্যমান।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                                                                                               صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

আমরা কি আসলেই হুসাইনী?

          হে আশিকানে রাসূল! আমরা শুনলাম! কারবালা হলো একটি জীবনের শিক্ষা। বর্তমানকার চিন্তাবিদরা যে মতবাদ দিয়ে নিজেদের দোকান সাজিয়ে থাকে, ইমামে আলী মকাম, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তা সবই আমাদেরকে আগেই কারবালার ময়দানে করে দেখিয়েছেন। এখন আমাদের ভাবা উচিত যে, আমরা কি ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে, কারবালা থেকে কিছু