Book Name:Quran Ki Taseer
আহ্বান করবে, সে অবশ্যই সঠিক পথে আহবানকারী হবে। (তিরমিযী, কিতাবুল ফাযায়িলুল কুরআন, পৃ. ৬৭৫, হাদিস: ২৯০৬)
কুরআনে করীমের অন্যান্য কিতাবের উপর শ্রেষ্ঠত্ব
একটি হাদিসে পাকে রয়েছে: যেভাবে আল্লাহ পাক তাঁর সমস্ত সৃষ্টির চেয়ে উত্তম, ঠিক সেভাবেই আল্লাহ পাকের কালামও অন্যান্য সমস্ত কালামের চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ। (তিরমিযী, কিতাবু ফাযায়িলির কুরআন, পৃ. ৬৭৯, হাদিস: ২৯২৬)
কুরআনে করীম ও অন্যান্য কিতাবের মধ্যে পার্থক্য
একজন অমুসলিম ছিল: নদর বিন হারিস। মক্কায়ে মুকাররমার অধিবাসী ছিল। একবার সে ব্যবসার কাজে শাম দেশে (সিরিয়া) গেল এবং সেখান থেকে গল্পের বই নিয়ে আসল। মক্কায়ে মুকাররমায় এসে লোকজনকে সেই গল্পগুলো (Stories) শোনাতে লাগল এবং এই দূর্ভাগা বলত: মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمও তোমাদের আদ ও সামূদ জাতির কাহিনী শোনায়, কাজেই আমিও তোমাদের রুস্তম, ইসফন্দিয়ার (ইত্যাদি ইরানের রাজাদের) গল্প শোনাবো।
অর্থাৎ এই হতভাগা এই মিথ্যা গল্পগুলোকে কুরআনে করীমের সমকক্ষ বলছিল। তার নিন্দায় পারা ২১, সূরা লুকমানের আয়াত অবতীর্ণ হল।
এবার এখানে দেখুন! মিথ্যা গল্পের বই, উপন্যাস ইত্যাদি আমাদের এখানেও পড়া হয়, মানুষ প্রবল আগ্রহ নিয়ে এই বইগুলো পড়ে, সূরা লুকমানের শুরুর আয়াতে নদর বিন হারিসের ঐ সকল গল্পের বই এবং কুরআনে করীমের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেলো। নদর বিন হারিসের নিন্দায় আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یَّشْتَرِیْ لَهْوَ الْحَدِیْثِ لِیُضِلَّ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ بِغَیْرِ عِلْمٍ ﳓ وَّ یَتَّخِذَهَا هُزُوًاؕ-
(পারা ২১, সূরা লুকমান: ৬)
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: এবং কিছু লোক খেলাধূলার কথাবার্তা ক্রয় করে যেন আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয় না বুঝে এবং সেটাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপরূপে গ্রহণ করে নেয়।
অর্থাৎ নদর বিন হারিস যে গল্পের বই বহন করত, তাতে অনেক ক্ষতি ছিল: (১) প্রথম ক্ষতি তো ছিল যে, এগুলো অর্থহীন গল্প ও কাহিনী। (২) দ্বিতীয় ক্ষতি ছিল যে, এগুলোর পাঠকারী ও শ্রবণকারীরা আল্লাহ পাকের পথ থেকে, নেকীর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
এবার এর তুলনায় কুরআনে করীমের শান কী? আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
الٓمّٓۚ(۱) تِلْكَ اٰیٰتُ الْكِتٰبِ الْحَكِیْمِۙ(۲) هُدًى وَّ رَحْمَةً لِّلْمُحْسِنِیْنَۙ(۳)
(পারা ২১, সূরা লুকমান: ১-৩)
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আলিফ-লাম-মীম। এ গুলো বাস্তবজ্ঞানে পরিপূর্ণ কিতাবের আয়াত, পথ নির্দেশনা ও দয়া সৎকর্মপরায়ণদের জন্য।
এই হলো কুরআনে করীমের তিনটি শান: