Quran Ki Taseer

Book Name:Quran Ki Taseer

ফারুকে আযম তাবিয দিলেন

          কায়সারে রোম (রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট) মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারূকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কাছে চিঠি লিখল যে, আমার দীর্ঘদিনের মাথাব্যথার রোগ রয়েছে, যদি আপনার কাছে কোনো চিকিৎসা থাকে, তবে পাঠিয়ে দিন! হযরত উমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাকে একটি টুপি পাঠিয়ে দিলেন। রোম সম্রাট যখন ঐ টুপিটি মাথায় পরতো, তখন তার মাথাব্যথা দূর হয়ে যেত এবং মাথা থেকে নামিয়ে নিত তখন আবারো ব্যথা ফিরে আসত, সে খুবেই হতবাক হলো, শেষ পর্যন্ত সে টুপিটি খুলে দেখলো তখন এতে একটি কাগজ পেলো, যাতে লেখা ছিল। (তাফসীরে কবীর, ১/১৫৫)

 

নেককার লোকেরাও দম করতেন

          ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কাছে এক ব্যক্তি তাঁর চোখের অসুখের অভিযোগ (Complaint) করলো তখন তিনি তাকে সহকারে সূরা কা'ফ এর আয়াত নম্বর ২২:

فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَآءَكَ فَبَصَرُكَ الْیَوْمَ حَدِیْدٌ(۲۲)

          এবং সূরা হা-মিম সাজদার আয়াত নম্বর ৪৪:

لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا هُدًى وَّ شِفَآءٌؕ-

          লিখে দিয়ে দিলেন, যার বরকত দ্বারা তার এই অসুখ দূর হয়ে গেল। (আল বুরহান লিল যরকাশী, ১ম অধ্যায়, ১/২৮৫)

 

তাবিযে বরকত রয়েছে

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল যে, তাবিয পরা এবং এর উপকারীতা লাভ করা সম্পূর্ণরূপে জায়িয কিছু বর্ণনা রয়েছে যেখানে তামায়িম বাঁধতে নিষেধ করা হয়েছে কিছু মানুষ এগুলি পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। আসলে তামায়িম ও তাবিয দু’টি আলাদা বিষয়। জাহেলী যুগে অমুসলিমরা তাদের মিথ্যা উপাস্যের নাম এবং শিরিকের শব্দ ইত্যাদি লিখে গলায় পরতো এবং বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতো এগুলোকেই তামায়িম বলা হতো। আর তাবিয হলো যা কুরআনী আয়াত, আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম এবং তাঁর গুণাবলী ও দোয়া ইত্যাদি দিয়ে লেখা হয়। (লামআতুত তানফিহ, কিতাবুল লিবাসম ৭/৩৯০, ৪৩৯৭নং হাদিসের পাদটিকা) সুতরাং তামায়িম বাঁধা বা কোনভাবে ব্যবহার করা কখনোই সঠিক নয়, আর তাবিয ব্যবহার করা শুধু জায়িয নয় বরং এটি মুস্তাহাব (অর্থাৎ পছন্দনীয়) এবং বরকতময়ও।

(মিরাতুল মানাজিহ, ৮/৩৭৫, ৪৫৫৪নং হাদিসের পাদটিকা)

 

কুরআনে করীমের বিভিন্ন সূরার প্রভাব

          হে আশিকানে রাসূল! কুরআনে করীম যেখান থেকেই পড়া হোক, তাতে বরকতই বরকত রয়েছে। তবে ওলামায়ে কিরাম হাদিসের আলোকে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কুরআনী