Siddique Akbar Ka Kirdar o Farameen

Book Name:Siddique Akbar Ka Kirdar o Farameen

পেয়েছি এবং আমার নামের পর আবু বকরের নামও লিখা ছিলো (মজমুয়ায যাওয়ায়িদ, /১৯, হাদীস নং-১৪২৯৬ তারিখূল খোলাফা, ৪৩ পৃষ্ঠা) সুতরাং আমাদের উচিৎ, আমরাও হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ প্রতি অধিকহারে ভালোবাসা শ্রদ্ধা পোষন করা, যেন আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয়দের সদকায় আমাদের উপরও সন্তুষ্টি রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

কল্যাণ কামনার চেতনা

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বরকতময় সত্তাকে আল্লাহ পাক উত্তম গুণাবলী পবিত্র চরিত্রের অধিকারী বানিয়েছেন, আসুন! তাঁর মোবারক চরিত্রের কতিপয় ঝলক শ্রবণ করি, সুতরাং তাঁর সত্তায় মানুষের কল্যাণের চেতনা পরিপূর্ণ ছিলো, এই কারণেই যে, দ্বীনে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে যে সাহাবায়ে কেরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان কষ্টকর জীবন অতিবাহিত করছিলেন, তিনি তাঁদের জন্য দয়া স্নেহের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, তিনি অত্যাচার নিপীড়নের চাক্কিতে পিষ্ট হওয়া মুসলমানদের জন্য শুধু মাত্র অন্তরেই দয়া সহমর্মিতা পুষে রাখেননি বরং তাঁদেরকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে সকল সম্ভাব্য চেষ্টা করেছেন আর যদি সম্পদ খরচ করতে হতো তবে তাতেও পিছপা হতেন না আসুন প্রসঙ্গে একটি ঈমান তাজাকারী ঘটনা শ্রবণ করি:

হযরত বেলাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ র মুক্তি

     সাহাবীয়ে রাসূল হযরত বেলাল হাবশী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সত্যিকার মুমিন ও পবিত্র অন্তর সম্পন্ন গোলাম ছিলেন, তাঁর মালিক উমাইয়া বিন খলফ তাঁকে প্রচন্ড রৌদ্রে নিয়ে গিয়ে মক্কার বাইরে উত্তপ্ত বালির উপর চিৎ করে শুয়াইয়ে বুকের উপর পাথর রেখে দিতো আর বলতো: মুহাম্মদ (صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمর ধর্ম) কে অস্বীকার করো, আমাদের খোদাদের ইবাদত করো, নয়তো এখানেই মারা যাবে। হযরত বেলাল হাবশী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ শুধু এটিই উত্তর দিতেন: আহাদ, আহাদ (অর্থাৎ আল্লাহ শুধুমাত্র একজন, তাঁর কোন অংশীদার নেই) (আর রিয়াদাতুন নাদারা, ১/১৩২-১৩৩) একদিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সেই জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলেন যেখানে হযরত বেলাল হাবশী رَضِیَ اللهُ عَنْہُর উপর নির্যাতন করা হচ্ছিলো, তিনি উমাইয়া বিন খলফকে ধমক দিয়ে বললেন: এই অসহায়কে কষ্ট দিতে তোমার আল্লাহ পাকের প্রতি ভয় হয় না? কতদিন এরকম করতে থাকবে? সে বলতে লাগলো: আবু