Book Name:Siddique Akbar Ka Kirdar o Farameen
বকর! তুমিই একে নষ্ট (অর্থাৎ মুসলমান) করেছো, তুমিই একে ছাড়িয়ে নাও। তিনি বললেন: আমার নিকট বিলালের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও বলিষ্ট গোলাম রয়েছে, বেলালকে আমাকে দিয়ে তা তুমি নিয়ে নাও। বললো: গ্রহণ করলাম। তিনি কিছু টাকা ও গোলামের বিনিময়ে তাঁকে কিনে নিয়ে আযাদ করে দিলেন।
এরপর তিনি আরো ছয়জন এমন গোলাম আযাদ করেছেন। (আর রিয়াদাতুন নাদারা, ১/১৩২) এটাও বর্ণিত আছে: হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হযরত বেলাল হাবশী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে পাঁচ আওকিয়া (প্রায় ৩২ তোলা) স্বর্ণের বিনিময়ে কিনলে বিক্রেতা বলেন: আবু বকর! যদি তুমি এক আওকিয়া স্বর্ণের বেশি না আগাতে তবে আমি ঐ দামেই তাকে বিক্রি করে দিতাম। তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: যদি তুমি একশ (১০০) আওকিয়া স্বর্ণ চাইতে, তবুও আমি তা দিতাম আর বেলালকে অবশ্যই কিনে নিতাম।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঘটনা দ্বারা জানা গেলো, হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ খুবই দয়াবান ছিলেন, কোন মু’মিনকে কষ্টে লিপ্ত হওয়া সহ্য করতে পারতেন না এবং নিজের ধন ও সম্পদকে তার প্রাণের উপর প্রাধান্য দিতেন। এই কারণেই তিনি হযরত বেলাল হাবশী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সহ সাত জন গোলামকে কিনে আযাদ করে দিয়েছেন। তিনি নেককার হওয়ার পাশাপাশি নেক কাজেও অগ্রনী ভূমিকা পালন করতেন।
গুহার সাথীর সম্পদ ইছার (আত্মত্যাগ)
তাবুকের যুদ্ধের সময় যখন হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর উম্মতের সম্পদশালীদেরকে আদেশ দিলেন যে, যেন তারা আল্লাহর পথে সম্পদ দ্বারা সাহায্য করাতে অগ্রগামী হয়ে অংশগ্রহণ করে, যাতে ইসলামী মুজাহিদদের জন্য খাবার পানীয় ও বাহনের ব্যবস্থা করা যায়, নবীয়ে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই উৎসাহ মূলক আদেশ পালন করতে গিয়ে যেই ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিজের সমস্ত সম্পদ রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে বিলিয়ে দিয়েছেন, তিনি সাহাবী ইবনে সাহাবী, আশিকে আকবর আমীরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ই ছিলেন, তিনি ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র কদমে পেশ করলেন, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজের গুহার সাথীর এই ইছার (আত্মত্যাগ) দেখে জিজ্ঞাসা করলেন: নিজের পরিবার