Jannat ke Qeemat

Book Name:Jannat ke Qeemat

ক্ষতি করে তাদের হক নষ্ট করছে, কখনো পিতামাতা সন্তানদের তাদের অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে একমত হয় না, কখনো সন্তান মাতাপিতার অধিকার হরণ করে থাকে, কখনো স্ত্রী তার স্বামীর হক প্রদানের ক্ষেত্রে সংকীর্ণতা প্রদর্শন করে, আবার কখনো কখনো স্বামী স্ত্রীর হক আদায় করা থেকে বিরত থাকে কখনো আত্মীয়স্বজনের মধ্যে হক আদায় নিয়ে বছরের পর লড়াই চলছে কোন কোন সময় প্রতিবেশীর অধিকারকে অবহেলা করা হচ্ছে

  মনে রাখবেন! যদি দুনিয়াতে কেউ কারো হক নষ্ট করে তবে তা এখানে আদায় করা বা ক্ষমা করিয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ, না হয় আখিরাতে কঠিন লাঞ্ছনার শিকার হতে হবে

  নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: কিয়ামতের দিন তোমরা অবশ্যই হকদারকে তার হক সৌপর্দ করে দিবে, এমনকি শিং বিহীন ছাগলের শিং বিশিষ্ট ছাগল থেকে প্রতিশোধ নিয়ে দেয়া হবে (মুসলিম, ১০৭০ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৬৫৮) অর্থাৎ তোমরা যদি দুনিয়াতে লোকদের হক আদায় না করো তাহলে প্রতিটি হক কিয়ামতের দিন আদায় করতে হবে, এই দুনিয়াতে সম্পদ দিয়ে আর আখিরাতে আমল দিয়ে, তাই উত্তম কাজ হলো তাদের এই দুনিয়াতে পরিশোধ করা অন্যথায় আপনাকে আফসোস করতে হবে

  হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: পশুরা   যদিও শরয়ী বিধানের আওতাধীন নয় কিন্তু বান্দার হক (পস্পরের হক) পশুদেরও আদায় করতে হবে (মিরআতুল মানাজিহ, /৬৭৪)

  হে আশিকানে রাসূল! পশুদের পরস্পরের বিষয়াদী কিভাবে হবে? আসুন! শ্রবণ করি মুফতি সাহেব কি বলেন: দুনিয়াতে যদি শিং বিশিষ্ট ছাগল শিং বিহীন ছাগলকে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন শিং বিহীন ছাগলকে শিং বিশিষ্ট ছাগলের শিং গুলো দেয়া হবে তখন সে  ছাগল তার কাছ থেকে বদলা নিতে গিয়ে শিং দিয়ে আঘাত করবে

(মিরআতুল মানাজিহ, / ৬৭৪)