Book Name:Ala Hazrat Ka Shoq e Ilm e Deen

এখন এই দুই ব্যক্তির জি হুযুর! বলার মধ্যে যতটা সময় ছিলো, সেই সময়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে বাক্য লিখাতেন, যখন তিনি বাক্য লিখে নিতেন, তখন বলতেন: জি হুযুর! এই তিনজনের জি হুযুর! বলার মধ্যখানে যতটা সময় থাকতো, তাতে তিনি চতুর্থ ব্যক্তিকে ফতোয়া লিখাতেন। এরই মধ্যখানে পঞ্চম ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে মাসআলা জিজ্ঞেস করা শুরু করলো, এখন আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একই সময়ে চার ব্যক্তিকে ফতোয়া লেখানোর পাশাপাশি পঞ্চম ব্যক্তিকেও মৌখিক উত্তর দিচ্ছিলেন। এভাবে আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ২৯টি চিঠির উত্তর লিখিয়ে নিলেন।

(ফয়যানে আ'লা হযরত, পৃষ্ঠা: ২২৫-২২৬)

        اَللهُ اَكْبَرُ  প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনুমান করুন! এটি কেমন শখ, জ্ঞানের প্রতি কিরুপ ভালোবাসা, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অসুস্থ, ডাক্তাররা পরামর্শ দিলো যে, মানুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ না করতে, বেশি কথাবার্তা না বলতে, বেশি কাজকর্ম না করতে কিন্তু আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাদের এই পরামর্শটি শুধু গ্রহণ করেছেন যে, জনসাধারণের সাথে সাক্ষাৎ হবে না। দিনের বেলা নিজে লিখবো এবং রাতের বেলা লিখাতেন, ডাক্তারদের সেই পরামর্শের উপর আমলের ধরন ছিলো যে, তিনি একই সময়ে চারজনের মাধ্যমে ফতোয়া লিখাচ্ছেন এবং পঞ্চম ব্যক্তিকেও মৌখিক উত্তর প্রদান করছেন।

 

       প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনি শুনলেন তো আ'লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, শাহ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দ্বীনি জ্ঞান শেখার জন্য কতটা আগ্রহী ছিলেন। আহ! আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ওসিলায় আমাদেরও যেনো দ্বীনি জ্ঞানের আগ্রহ নসীব হয়ে যায়

 

দ্বীনি জ্ঞানার্জন করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরয

        সাহাবীয়ে রাসূল, হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِیْضَةٌ عَلیٰ کُلِّ مُسْلِمٍ وَ اِنَّ طَالِبَ  الْعِلْمِ یَستَغْفِرُ لَہٗ کُلُّ شَیْءٍ حَتَّی الْحِیْتَانُ فِی الْبَحْرِ দ্বীনি জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয এবং দ্বীনি জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য প্রতিটি বস্তু এমনকি সমুদ্রের মাছও ক্ষমা প্রার্থনা করে। (জামেয়ে সগীর, ৩২৫ পৃষ্ঠা, হাদীস ৫২৬৬)

 

       প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দ্বীনি জ্ঞান শেখার কতো মহান বরকত যে, ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে, জ্ঞান শেখে, দ্বীনি কিতাব অধ্যয়ন করে, কুরআনের আয়াত এবং হাদীস মুখস্ত করে এবং দুনিয়ার প্রতিটি বস্তু এমনকি সাগরের মাছও তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। এটি কেমন সৌভাগ্যের ব্যাপার...!! سُبْحٰنَ الله!

 

 কোন ধরনের জ্ঞান শেখা ফরয...?

        হে আশিকানে রাসূল! এইমাত্র আমরা যে হাদীসে পাক শ্রবণ করলাম, তাতে বলা হয়েছে যে, জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয এই পবিত্র হাদীসে পাকে কোন ধরনের