Book Name:Ala Hazrat Ka Shoq e Ilm e Deen

আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালীন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

কিতাব ছেড়ে দেয়া পছন্দ করলেন না

        ১৩০০ হিজরীর কথা, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বয়স মুবারক তখন ২৭ বছর এবং কয়েক মাস ছিলো, সময়টি ছিলো গ্রীষ্মকাল। আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কোনো জ্ঞানভিত্তিক গবেষণার জন্য সূক্ষ্ম শব্দে লেখা কিতাব ধারাবাহিকভাবে দেখতে হতো। এই ধারাবাহিক পরিশ্রমের ফলে চোখে কিছুটা প্রভাব পড়লো, একদিন আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ জ্ঞানভিত্তিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন, দুপুর বেলা তিনি গরম অনুভব করলেন, তাই তিনি গোসল করলেন, যখনই মাথায় পানি ঢাললেন, তখন এমন মনে হলো যেনো মাথা থেকে কোনো কিছু বের হয়ে চোখে নেমে এসেছে।

 

        পরে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে চোখ দেখানো হলো, ডাক্তার সাহেব ভালোভাবে চেক করে বললেন: অধিকহারে কিতাব দেখার কারণে শুষ্কতা দেখা দিয়েছে, ১৫ দিন পর্যন্ত কোনো কিতাব পড়বেন না। এখন আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মত ব্যক্তিত্ব...!! হাজারো লক্ষ মুসলমান দ্বীনি মাসআলার সমাধান জিজ্ঞাসা করে, ফতোয়ার আবেদন করে, ডাক্তার সাহেব ১৫ দিন কিতাব না পড়তে বলছে, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তো ১৫ মিনিটও কিতাব ছাড়তে পারবেন না, যাক! একজন হাকীম সাহেব পরীক্ষা করেছেন, তিনি বললেন: নুযুলে আব (অর্থাৎ পানি নেমে আসার) প্রভাব, আল্লাহ না করুন ২০ বছর পর পানি নেমে আসবে (অর্থাৎ ছানি রোগের কারণে দৃষ্টিশক্তি চলে যাবে)

 

        আপাতদৃষ্টিতে এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় ছিলো, কিতাব ছাড়া যাবে না, লেখার কাজ করতেই হবে, অন্যথায় উম্মতকে দ্বীনি নির্দেশনা দেবে কে? আর যদি আল্লাহ না করুক দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হয়, তাহলে তাও হবে খুবই কষ্টদায়ক হবে

 

                        اَللهُ اَكْبَرُ কঠিন সময়ে একজন সত্যিকারের আশিকে রাসূলের মনোযোগ কোনদিকে থাকে? سُبْحٰنَ الله! পৃথিবীতে একটাই তো রহমতের আঁচল রয়েছে, যেখানে গোলামরা আশ্রয় নেয়:

 

        আশিকদের ইমাম 'লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রিয় নবীর দরবারে আশ্রয় নিলেন। একটি হাদীস শরীফ মনে পড়ে গেলো, যে ব্যক্তি বিপদগ্রস্তকে দেখে এই দোয়া পাঠ করে:

اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ الَّذِیْ عَافَانِیْ مِمَّا ابْتَلَاکَ بِہٖ وَفَضَّلَنِیْ عَلٰی کَثِیْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِیْلًا