Book Name:Ala Hazrat Ka Shoq e Ilm e Deen

মু'তামিনা সেই বছরগুলোর রচনা * একজন বিজ্ঞানির খন্ডনে লিখিত ১৪০ পৃষ্ঠার নিখুঁত বিজ্ঞানমূলক পুস্তিকা ফৌজে মুবিন * তাযিমী সিজদা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ১১৩ পৃষ্ঠার পুস্তিকা আয যুবদাতুল যাকিয়া এবং এ ছাড়া আরো অসংখ্য পুস্তিকা ও ফতোয়া জীবনের এই শেষ বছরগুলোতেই তিনি লিখেন।

 

একই সময়ে ৪ জনকে লিখাতেন

        মাওলানা হুসাইন সাহেব মিরটির বক্তব্যের সারমর্ম হলো: একবার সায়্যিদি আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর শরীর মুবারক অসুস্থ ছিলো, ডাক্তাররা মানুষের সাথে দেখা করা, কথা বলা এবং লিখার কাজ করতে নিষেধ করে দিলেন।

 

        চিকিৎসকদের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে কর্মপদ্ধতি এমন রাখা হয়েছিলো যে, ঐ দিনগুলোতে শহরের বাইরে একটি বাড়িতে আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো সাধারণ মানুষের সেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিলো না, মাওলানা হুসাইন মীরটি সাহেব বলেন: আমি সেখানে উপস্থিত হলাম; 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মাগরিবের নামায আদায় করলেন, তারপর বিছানায় তাশরীফ আনলেন। পাশেই চেয়ার রাখা হলো, ৪জন ব্যক্তি; মাওলানা মুস্তফা রযা খান, মুফতি আমজাদ আলী আযমী এবং মাওলানা হাশমত আলী লাখনভী এবং আরেকজন সাহেব উপস্থিত হয়ে চেয়ারে বসলেন। আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চিঠির একটি বান্ডিল বের করে মুফতি আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে দিয়ে বললেন: আজ ৩০টি চিঠি এসেছিলো, আমি একটি দেখেছি এবং এই রইলো ২৯টি। মুফতি আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একটি চিঠির খাম খুললেন সেখানে কয়েক পৃষ্ঠা সম্বলিত কয়েকটি প্রশ্ন ছিলো 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একটি প্রশ্ন শুনলেন এবং এরউত্তর একটি বাক্যে বললেন, মুফতি আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই বাক্যটি লিখছিলেন, এরই মাঝখানে দ্বিতীয়জন দ্বিতীয় চিঠি পড়া শুরু করলেন, সাথে সাথে আ'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর লেখানো শুরু করে দিলেন, দ্বিতীয় ব্যক্তিটি তা লিখতে লাগলেন, সে লেখার মাঝখানে তৃতীয় ব্যক্তি তার চিঠিটি পড়ে শোনানো শুরু করলেন, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তার চিঠির প্রশ্ন শুনে তার উত্তরও লিখাতে শুরু করলেন, তাকে একটি বাক্য লিখালেন, চতুর্থ ব্যক্তি তার চিঠি শুনানো শুরু করলেন, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তার উত্তর লিখানো শুরু করলেন, অতঃপর এই ধারাবাহিকতা ছিলো যে, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একটি বাক্য লিখাতেন, একজন ব্যক্তি সেই বাক্যগুলো লিখতেন, ঠিক তখনই অপরজন তার প্রশ্ন শুনাতেন, প্রথম ব্যক্তি যখন তার বাক্যটি লিখা শেষ করতেন তখন তিনি বলতেন: জি হুযুর! তখন অপর ব্যক্তি চুপ হয়ে যেতেন, 'লা‌ হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই প্রথম ব্যক্তিকে দ্বিতীয় বাক্য লিখাতেন, তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত বাক্য লিখতেন, এতক্ষণ পর্যন্ত অপর ব্যক্তিকে বাক্য লিখানো হতো, যখন তিনি লিখা শেষ করতেন তখন তিনি বলতেন: জি হুযুর!