Book Name:Madine Ki Barkatain
রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আরো বলেনঃ আল্লাহ পাক সেই নূর সৃষ্টি করে ১২ হাজার বছর সান্নিধ্য দান করেছেন অতঃপর সেই নূরের চারটি অংশ করেছেন, তার তিন অংশ দ্বারা আরশ, কুরসি এবং আরশ বহনকারী ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন এবং সেই নূরের চতুর্থাংশকে আবার ১২ হাজার বছর পর্যন্ত ভালোবাসার স্থানে রাখেন, তারপর ১২ হাজার বছর পর সেটা চার ভাগে ভাগ করেন, একটি অংশ দ্বারা কলম, একটি অংশ দ্বারা লৌহ এবং একটি অংশ দ্বারা জান্নাত তৈরি করেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, পৃষ্ঠা:৬৩-৬৪)
سُبْحَانَ الله! হে আশিকানে মদীনা! একটু ভাবুন! জান্নাত যা রহমতের স্থান * জান্নাত যার প্রতিশ্রুতি নেককার লোকদের সাথে করা হয়েছে * সেই জান্নাত যার ফযিলত কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, সেই জান্নাত যার নূরের একটি অংশ দ্বারা তৈরি, সেই নূরানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যে নূরানী শহরে স্বয়ং নিজে আরাম করছেন তাকে মদীনা বলা হয়, তাহলে কেন প্রেমিকরা বলবে না যে, اَلْمَدِینَۃُ کُلُّہَا جَنَّۃُ الْفِرْدَوْس সমগ্র মদীনাই জান্নাতুল ফেরদৌস।
যেখানে প্রিয়তম, সেখানেই জান্নাত
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এখানে এই বিষয়টিও মনে রাখবেন! আরশ ও কুরসি, লৌহ এবং কলম, জান্নাত এবং সেখানকার সমস্ত নিয়ামতগুলিও আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمএর নূর দ্বারা সৃষ্ট, সে যতগুলো মর্যাদা লাভ করেছে তাও আমাদের প্রিয় নবী মক্কী মাদানী মোস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উসিলায়। দেখুন! মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন:
لَاۤ اُقْسِمُ بِہٰذَا الْبَلَدِ ۙ(۱)
(পারা: ৩০, সূরা:বালাদ, আয়াত:১) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমায় এই শহরের শপথ।
উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ পাক মক্কার শপথ করেছেন। সর্বোপরি, মক্কা শরীফকে কেন এই মর্যাদা দান করা হলো, আল্লাহ পাক কেন এর শপথ ইরশাদ করেছেন? * এখানে কাবা শরীফ আছে, তাই? * এখানে সাফা ও মারওয়া রয়েছে, তাই? * এখানে মিনা আছে * এখানে মুযদালিফা আছে * আরাফাতের ময়দান আছে * এখানে হাজীরা হজ্ব পালন করে * এখানে তাওয়াফ করা হয় * মক্কা শরীফের হাজারো বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেই বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণেই কি এই সৌভাগ্য দান করা হয়েছে? না!! না...!! আল্লাহ পাক বলেন:
وَ اَنْتَ حِلٌّۢ بِہٰذَا الْبَلَدِ ۙ(۲)
(পারা:৩০, সূরা:বালাদ, আয়াত:২) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যেহেতু হে মাহবুব আপনি এই শহরে তাশরীফ রাখছেন।
অর্থাৎ আল্লাহ পাক এই পবিত্র শহরের শপথ এজন্য করেছেন কারণ এই শহর আল্লাহর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কদম চুম্বন করেছে। سُبْحَانَ الله! জানা গেল; ফযিলতের আসল