Madine Ki Barkatain

Book Name:Madine Ki Barkatain

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মদীনা শরীফের কি উঁচু মহিমা, আল্লাহ পাক একে নিজের দিকে সম্পর্কিত করেছেন, একে আল্লাহর ভূমি ও আমার ভূমি বলেছেন এবং একটি সুন্দর জিনিস লক্ষ্য করুন যে, আল্লাহ পাক মদীনা মুনাওয়ারাকে واسعة অর্থাৎ বিস্তীর্ণ ভূমি বলেছেনسُبْحَانَ الله এটাও মদীনা শরীফের উঁচু মহিমা।

 

মদীনার বরকত

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হে মদীনার প্রেমিকগণ, اَلْحَمْدُ لِلّٰه, মদীনা খুবই বরকতময় স্থান, আসুন! মদীনার কতিপয় বরকত শোনার সৌভাগ্য লাভ করি

 

(১) মদীনা শরীফের সবকিছুই বরকতময়

          মদীনা শরীফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বরকত হলো, এখানকার প্রতিটি বস্তুর মধ্যে দ্বিগুণ বরকত রয়েছেসুতরাং সাহাবীয়ে রাসূল হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মদীনা শরীফের জন্য এভাবে দোয়া করেছেন:

اَللَّهُمَّ اجْعَلْ بِالْمَدِينَةِ ضِعْفَيْ مَا جَعَلْتَ بِمَكَّةَ مِنَ البَرَكَةِ

          অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! যত বরকত তুমি মক্কায় রেখেছো, তার চেয়ে দ্বিগুণ বরকত মদীনায় দাও। (বুখারী, পৃষ্ঠা:২১)

 

          উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ওলামায়ে কেরাম বলেনঃ উক্ত হাদীসে বরকতময় দ্বারা উদ্দেশ্য বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় বরকতই, অর্থাৎ দোয়ায়ে মুস্তফার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অর্থ হলো, হে আল্লাহ পাক! মদীনার ইবাদতে, মদীনার রিযিকে মক্কা শরীফের তুলনায় দ্বিগুণ বরকত দান করুন। প্রসিদ্ধ মুফাসসিরে কুরআন, হাকীমুল-উম্মত মুফতি আহমদ  ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেনঃ মদীনা শরীফে রিযিকের  বরকত তো আজও দেখা যাচ্ছে যে, সেখানে (সব ধরনের) ফল পাওয়া যায়, সেখানকার আবহাওয়া এমন মধুময় যে, মক্কা শরীফেরও এমন নয় এবং ভালবাসার সিদ্ধান্ত হলো, মক্কার ইবাদতের সাওয়াব যদিও বেশি ( সেখানকার প্রত্যেক নামাযের সাওয়াব এক লাখের সমান, কিন্তু) মদীনার ইবাদতে আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য অধিক লাভ  হয়, সেই ইবাদতের মর্যাদা অতি উচ্চ।

(মিরআতুল মানাজীহ,)

 

মনবাসনা পূর্ণ হওয়ার স্থান

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মদীনা শরীফের বরকতের মধ্যে অন্যতম একটি বরকত হলো, এটি সেই বরকতময় শহর যেখানে মনবাসনা পূর্ণ  হয়

          এটি সত্যি বাস্তব, মদীনার ডাক আসাই এই বিষয়ের লক্ষণ যে, বান্দার ভাগ্য খুলে গেছে, এখন মনবাসনা পূরণের, মুসিবত দূর হওয়ার এবং বিপর্যয় দূর হওয়ার মাহিন্দ্রক্ষণ এসেছে। যারা মদীনায় গেছেন, একটু তাদের জিজ্ঞেস করুন!