Book Name:Qabro Se Uthnay Ka Holnaak Manzar
লোকদের সাহচর্যে (Company) বসা * গুনাহে নিমজ্জিত থাকা * আমরা কী শিখছি, কার থেকে শিখছি ইত্যাদির কোন চিন্তাই না করা * ইলমে দ্বীন থেকে দূরে থাকা * অমুসলিমদের অনুসরণ করা * তাদের সাহিত্য (Literature) পড়া * অশুভ (Inauthentic) ব্যক্তি ও অশুভ পদ্ধতি (সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট, ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদির) মাধ্যমে দ্বীন শিখার চেষ্টা না করা ইত্যাদি ঈমান থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ, কিন্তু আফসোস! বর্তমান সময়ের অধিকাংশ (Majority) মানুষকে এসব কাজে নিমজ্জিত দেখা যায়।
হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাক আমাদেরকে ঈমানের দৌলত দান করেছেন, তো আমাদের উচিত একে মূল্যায়ন করা এবং এর নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, এজন্য আমাদের উচিত আল্লাহ পাকের গোপন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সর্বক্ষণ ভয় করতে থাকা আর প্রতিটি মূহুর্তে ঈমান নিয়ে চিন্তা করতে থাকা।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কে কোন অবস্থায় কবর থেকে উঠবে, শুনুন! হাদিসে পাকে রয়েছে, অদৃশ্যের ব্যাপারে অবগত নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: কিয়ামতের দিন এক জাতিকে কবর থেকে এভাবে উঠানো হবে যে, তাদের মুখ দিয়ে আগুন বের হবে। জিজ্ঞাসা করা হলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ ! صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এরা কারা? ইরশাদ করলেন: (ঐসব লোক যারা অন্যায়ভাবে এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করে) তোমরা কি আল্লাহ পাকের এই বাণীটি দেখোনি:
(মুসনদে আবি ইয়ালা ৫/৪৫০, হাদিস: ৭৪৩৭)
اِنَّ الَّذِیْنَ یَاْکُلُوْنَ اَمْوَالَ الْیَتٰمٰی ظُلْمًا اِنَّمَا یَاْکُلُوْنَ فِیْ بُطُوْنِہِمْ نَارًا ؕ وَ سَیَصْلَوْنَ سَعِیْرًا
(পারা: ৪, সূরা নিসা, আয়াত: ১০) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ঐসব লোক যারা এতিমদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে তারা তো তাদের পেটের মধ্যে আগুনই ভর্তি করে এবং অনতিবিলম্বে তারা জ্বলন্ত আগুনে যাবে।
এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে খাবেন না!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করার কয়েকটি দিক হতে পারে, যেমন: * কোন ব্যক্তির ইন্তিকাল হলো, তার উত্তরাধিকারের মধ্যে এতিম শিশুও রয়েছে, এখন উত্তরাধিকারীদের বন্টনের পূর্বে সেই মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ দ্বারা চারদিনের ফাতেহা, দশদিনের ফাতেহা, চেহলাম ইত্যাদির খতম দিতে পারবে না, কেননা এতে এতিমের সম্পদ রয়েছে। সুতরাং এহেন অবস্থায় চারদিনের ফাতেহা ইত্যাদি ইসালে সাওয়াবের খরচাদি আলাদা টাকা দিয়ে করতে হবে * এতিম শিশুকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা, তার সম্পদে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা ইত্যাদি এসবকিছু এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে খাওয়ার অবস্থাদি, যা আজকাল আমাদের সমাজে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। আল্লাহ পাক আমাদের এই করুণ অবস্থার প্রতি দয়া করো, আহ! যদি আমাদের খোদাভীরুতা অর্জিত হয়ে যেতো, পরহেযগারীতা নসিব হয়ে যেতো, আহ! নিজেদের জীবনের প্রতিটি বিষয়ে যদি শরয়ী নির্দেশনা নেয়ার অভ্যাস হয়ে যেতো। আল্লাহ পাক আমাদেরকে অন্যায়ভাবে সম্পদ আত্মসাৎ করার বিপদ থেকে নিরাপদ রাখো।