Book Name:Faizan e Ameer e Muawiya
হে আশিকানে রাসূল! এই দোয়ায়ে মুস্তাফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সম্পর্কে আরেকটি ঈমান উদ্দীপক পয়েন্ট রয়েছে, যা বর্ণনা করেছেন আল্লামা ইবনে হাজর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ। আসুন! এই বিষয়টা একটু সহজভাবে বুঝে নিই।
মনে একটি প্রশ্ন জাগে যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কে এই দোয়াটিই কেন করলেন? অন্য কোন দোয়া কেন করেননি? হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর জন্যও প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দোয়া করেছিলেন: اَللّٰہُمَّ عَلِّمْہُ الْکِتَابَ মাওলা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে কুরআনের জ্ঞান দান করো। অনুরূপভাবে অন্যান্য সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان জন্যও বিভিন্ন দোয়া করেছেন। সর্বোপরি হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর জন্য এই দোয়াটিই কেন করলেন যে, আল্লাহ! মুয়াবিয়াকে হেদায়েতপ্রাপ্তও বানাও এবং হেদায়েত প্রদানকারীও বানাও।
এ প্রশ্নের উত্তর আল্লামা ইবনে হাজার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দিয়েছেন, কী চমৎকার বিষয়! তিনি বলেন: এমন দোয়া যা দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এমন দোয়া কেবল সেই ব্যক্তির জন্যই করতে পারেন, যাঁর সম্পর্কে তিনি জানেন যে, এই বান্দা এই মর্যাদার উপযুক্ত এবং এই মর্যাদার যোগ্যতাও রাখে।
(ফাযায়িলে মুয়াবিয়া, ৭২ পৃষ্ঠা)
উদ্দেশ্য হলো যে, আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে এমন মহিমা দান করেছেন যে, তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শুধু বাহ্যিক অবস্থাই দেখেন না বরং অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিও অবলোকন করেন, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সামনের ব্যক্তির যোগ্যতা অনুসারে দোয়া করতেন। হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কেও যখন দোয়া করেছেন তখন নিশ্চয়ই তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর পরিপক্ক জ্ঞানের মাধ্যমে তাঁর যোগ্যতা যাচাই করে নিয়েছেন যে, হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হেদায়েত প্রদানকারী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এবং মাহদী হওয়ার যোগ্যতাও রাখেন, অতএব তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দোয়া করলেন: اَللّٰہُمَّ اجْعَلْہُ ھَادِیًا مَہْدِیاً (হে আল্লাহ! মুয়াবিয়াকে হেদায়েত প্রদানকারীও বানাও, হেদায়েতপ্রাপ্তও বানাও)।
যেন এ দোয়ায়ে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم টি নিছক একটি দোয়া নয়, এক অর্থে এটি হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর একটি অভিমত যে, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দৃষ্টিতে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এই বিষয়ের যোগ্য ছিলেন যে, তিনি হেদায়েতপ্রাপ্ত হবেন ও হেদায়েত প্রদানকারীও হবেন।
একটু ভেবে দেখুন! যে ব্যক্তি
সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
এর
এই অভিমত হয় যে, তিনি হেদায়েতপ্রাপ্ত হওয়ারও যোগ্যতা রাখেন, হেদায়েত
প্রদান করারও যোগ্যতা রাখেন, তাহলে বলুন! আমরা গোলামদের সেই ব্যক্তির