Book Name:Faizan e Ameer e Muawiya
কারণ তাঁরা সবাই যেই গুণেই গুণান্বিত হয়েছেন, যে মর্যাদাই পেয়েছেন তা সবকিছুই প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উছিলায় পেয়েছেন।
(২) হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ
দ্বিতীয়তঃ এটি বুঝা গেল যে, হযরত আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ফানাফির রাসূলের সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলেন যে, দৃশ্যত সিরিয়া দেশকে রাজত্বের রাজধানী হযরত আমীর মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বানিয়েছিলেন, দৃশ্যত বাদশাহও আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ই ছিলেন, সিংহাসনে তিনিই বসতেন কিন্তু আল্লাহ পাক বলেন: وَ مُلْکُہٗ بِالشَّام এই সাম্রাজ্য, এই রাজত্ব, যার রাজা প্রকাশ্যে আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ, এই রাজত্ব প্রকৃতপক্ষে আমীরে মুয়াবিয়ার রাজত্ব নয়, বরং এই রাজত্ব মুস্তফা জানে রহমত, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রাজত্ব। এটি এমন হয়ে গেল যেভাবে বদর যুদ্ধ উপলক্ষে অমুসলিমদের দিকে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মাটি নিক্ষেপ করেছিলেন কিন্তু আল্লাহ পাক ইরশাদ করছেন:
وَ مَا رَمَیْتَ اِذْ رَمَیْتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ رَمٰی
(পারা ৯, সূরা আনফাল, আয়াত ১৭) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর হে মাহবুব! ঐ মাটি, যা আপনি নিক্ষেপ করেছেন, তা আপনি নিক্ষেপ করেননি, বরং আল্লাহ্ নিক্ষেপ করেছেন।
سُبْحٰنَ الله! এটি হলো প্রেমের সর্বোচ্চ স্তর, রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আর আল্লাহ পাক ইরশাদ করছেন: এই রাজত্ব আমীরে মুয়াবিয়ার নয়, বরং আমার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর।
(৩) কুরআন শরীফ থেকে আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর আলোচনার প্রমাণ
এখান থেকে তৃতীয় যে বিষয়টি আমরা জানতে পারলাম তা হলো, আল্লাহ পাক তাওরাত শরীফে তাঁর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রশংসা বর্ণনা করেছেন, যাতে আমীরে মুয়াবিয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর রাজত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং আল্লাহ পাক কুরআনে ইরশাদ করেন:
وَ تَکْتُمُوا الْحَقَّ وَ اَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ (۴۲)
(পারা ১, সূরা বাকারা, আয়াত ৪২) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর দেখে জেনে সত্যকে গোপন করো না।
অর্থাৎ আমি আমার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর যে প্রশংসা গুলো তাওরাত শরীফে বর্ণনা করেছি সেগুলো গোপন করিও না সেগুলোর আলোচনা করো।