Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein

Book Name:Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein

          سُبْحٰنَ الله! আল্লাহ পাক আমাদেরও এমন তৌফিক দান করো! আমরা যদি অন্তরে কল্যাণের স্পৃহা সৃষ্টি করি, তাহলে اِنْ شَآءَ الله দ্বীন ও দুনিয়ার অসংখ্য কল্যাণের অধিকারী হবো।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

 

 

শত্রুর জন্য দোয়া করলেন

          একবার এক হিংসুক ব্যক্তি ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে গালিগালাজ করলো, নোংরা গালিগালাজ করলো এবং পথভ্রষ্ট বরং আল্লাহর পানাহ! যিনদী (বেদ্বীন) পর্যন্ত বললোইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উত্তরে বললেন: আল্লাহ পাক আপনাকে ক্ষমা করুন, আল্লাহ পাক জানেন যে, আপনি আমার সম্পর্কে যা বলছেন আমি সেই রকম নইএ কথা বলার পর তাঁর হৃদয় ব্যথিত হয়ে গেল এবং তাঁর চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগলো এবং তিনি বলতে লাগলেন: আমি আল্লাহ পাকের নিকট আশাবাদী যে, তিনি আমাকে ক্ষমা করবেন, হায়! আমি আল্লাহর আযাবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত, আযাবের কথা বলতেই তাঁর ক্রন্দন বেড়ে গেলো এবং কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এলো তখন দোয়া করলেন: হে আল্লাহ পাক! যে আমাকে গালমন্দ করেছে তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও

(আল খাইরাতুল হাসান, ৫৫ পৃষ্ঠা)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন যে, ইমামে আযমের সুন্দর চরিত্র যে, গালমন্দকারী এবং নোংরা ভাষায় গালিগালাজ কারীর সাথে কীরূপ সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেনহায়! আমরাও যেন আমাদের ইমামের পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা করি এবং যারা আমাদের গালমন্দ করে তাদের ক্ষমা  করে দেই।

 

সারা রাত ইবাদত

          আল্লামা ইবনে হাজর হায়তামী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন, ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সারা রাত ইবাদত করা ও তাহাজ্জুদ পড়া অকাট্য ভাবে প্রমাণিত এবং এ কারণেই অধিক কিয়াম করার কারণে তাঁকে আল-ওয়াতাদ অর্থাৎ (পেরেক) বলা হত। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৩০ বছর যাবৎ এক রাকাতে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করেন এবং ৪০ বছর যাবৎ ইশার অযু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেন। (আল খাইরাতুল হাসান, পৃষ্ঠা ৫০)
ô একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক  رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সামনে জনৈক ব্যক্তি ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর গীবত করলো, তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: তোমার জন্য আফসোস যে, তুমি এমন ব্যক্তির গীবত করছো যিনি ৪৫ বছর যাবৎ এক অযু দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেছেন এবং এক রাকাত নামাযে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ খতম করেছেন এবং আমার যত ফিকাহের জ্ঞান রয়েছে তা সবকিছু আমি তাঁর কাছ থেকে অর্জন করেছি। (আল খাইরাতুল হাসান, ৫০ পৃষ্ঠা) ô তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ রাতভর এক রাকাতেই কুরআন শরীফ  পড়তেন এবং খোদাভীতিতে এত পরিমাণ কান্না করতেন যে, তাঁর সহপাঠীদের তাঁর প্রতি দয়া চলে আসতো