Book Name:Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein
সন্তুষ্ট হয়েছেন (কারণ আল্লাহ পাক তাঁদেরকে দারিদ্র্যতা, সম্পদশালীতা, স্বাস্থ্য, রোগ ইত্যাদি যেই অবস্থায় রেখেছেন তাঁরা তাতে সন্তুষ্ট থেকেছেন, কখনো কোনো বিষয়ে অভিযোগ করেননি) আল্লাহ পাক তাঁদের জন্য এমন জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, তাঁরা এই জান্নাতে চিরকাল বসবাস করবে, এসব নেয়ামত লাভ করা অনেক বড় সাফল্য।
(তাফসীরে নঈমী, পারা ১১, সূরা তাওবা, আয়াত ১০০, ১১/২৮)
سُبْحٰنَ الله! নেককার সৎ তাবেয়ীদের কী অপরূপ মর্যাদা...!! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আমাদের ইমাম আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এমনই, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان অনুসরণ করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করেছেন, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন, সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان কাছ থেকে দিক নির্দেশনা নিয়ে সারা জীবন ইবাদত ও রিয়াযত এবং দ্বীনের খেদমতে অতিবাহিত করেছেন। সর্বদা আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন, কখনো কোন অবস্থাতেই তিনি অভিযোগ করেননি, তাই পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশী ছিলেন, অতএব اِنْ شَآءَ الله আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট এবং اِنْ شَآءَ الله তিনি জান্নাতী বরং আল্লাহ পাক চাইলে তাঁর উসিলায় আমরা গুনাহগারদেরকেও ক্ষমা করা হবে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এইমাত্র আমরা ১১ নং পারার সূরা তাওবার
১০০ নং আয়াত শুনলাম। এই আয়াত সম্পর্কে একটি ভুল ধারণাও হতে পারে
যে, যারা সাহাবায়ে
কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان যিয়ারত করেছেন, তাদের মধ্যে
অনেকে অত্যন্ত দূর্ভাগাও ছিলো, যেমন; লম্পট ইয়াজিদ, সে সাহাবীয়ে রাসূলের সন্তান ছিল, সে সাহাবায়ে কিরামের
عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان যিয়ারতও করেছে, তাহলে সেও
কি উক্ত আয়াতে বর্ণিত ফযীলতের অধিকারী হবে? তাই একটু ব্যাখ্যা
করে দিই যে, ঐ সকল ব্যক্তি, যাদের সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ
الرِّضْوَان সাহচর্য লাভ হয়েছে, তাঁদেরকে ক্ষমা করে হবে, এমনটি নয়, বরং উক্ত আয়াতে
আল্লাহ পাক দুটি শর্ত আরোপ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন:
وَ الَّذِیْنَ اتَّبَعُوْہُمْ بِاِحْسَانٍ কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর যারা সৎকর্মের সাথে তাঁদের অনুসারী হয়েছে।
আয়াতে করীমার এই বাক্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুফাসসীরগণ বলেন: সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان শুধু অনুসরণ করাই মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়, শুধুমাত্র অনুসরণ তো মুনাফিকরাও করত, বরং তাঁদের অনুসরণ ইহসানের সহিত করতে হবে। ইহসানের অর্থ হলো: * ভালো বলা * ভালো জানা * ভালো মানা। অর্থাৎ * বান্দা মুখে সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان প্রশংসা করবে * তাঁদেরকে অন্তর থেকে ভালো জানবে, মানবে * তারপর তাঁদের অনুসরণ করবে। ইহসান সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ও সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে পার্থক্য করে