Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein

Book Name:Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein

          হায়! আজকাল পরিবেশ পুরোপুরি উল্টো, আমাদের সমাজে যে বেশি গীবত করে, তাকে বেশি বুদ্ধিমান মনে করা হয় * দোকানে বসলে গীবত * ঘরে বসলে গীবত * বন্ধু বান্ধবের মাঝে বসলে গীবত * আফসোস! আজকাল এমন পরিবেশ বিরাজ করছে যে, নিজের মা বাবার  গীবত করতেও মানুষ দ্বিধাবোধ করে না, বলতে গেলে শুধু বলতেই থাকে * কখনো ভাই বোনের গীবত * কখনো বন্ধু বান্ধবের গীবত
* কখনো পাড়া প্রতিবেশীর গীবত * কখনো সহকর্মীর গীবত * তদ্রুপ চুগলীও করে বসে * অপরের প্রতি অপবাদ রটায় এবং মজা নিয়ে এরূপ কথা শ্রবণকারী * তাদের গুনাহে সমপরিমাণ শরিক থাকে, তাদের এই গুনাহপূর্ণ কথা শুনে তারা মনে করে যে, কত চতুর চালাক এবং খুবই বুদ্ধিমান ব্যক্তি মানুষের শিরায় শিরায় সচেতন...!!

          হায়! মানুষের শিরা-উপশিরা সম্পর্কে সচেতন থাকুক বা না থাকুক, এ ধরনের ব্যক্তি শয়তানের কৌশল সম্পর্কে সচেতন নয়, যদি নফস ও শয়তানের ধ্বংসলীলা সম্পর্কে জানতো তাহলে এভাবে গীবত, চুগলী এবং অপবাদ রটানোর বাজার কখনো উত্তপ্ত করতো না। নিশ্চয় প্রকৃত জ্ঞানী, প্রকৃত পক্ষে চালাক সেই ব্যক্তি, যে নফস এবং শয়তানকে পরাজিত করে গুনাহ থেকে বিরত থাকে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

আমি ১০ হাজার ক্ষমা করে দিয়েছি

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অত্যন্ত দানশীল ছিলেন, তাঁর মুবারক অভ্যাস ছিল যে, তিনি তাঁর পরিবার পরিজনের জন্য যতটুকু অর্থ ব্যয় করতেন ততটুকু অর্থ দান করতেন * কোন নতুন কাপড় পরিধান করলে সেই সমমূল্যের কাপড় ক্রয় করে আলিমদের উপহার দিতেন। * যখন তাঁর সামনে খাবার উপস্থাপন করা হতো তখন যতটুকু নিজে খেতেন ততটুকু খাবার কোন গরিবকেও আহার করাতেন। (তারিখে বাগদাদ, ১৩/৩৫৬)

 

          একবার কেউ তাঁর কাছ থেকে ১০,০০০ (দিরহাম বা দিনার অর্থাৎ স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রা) ধার নিলো, হয়তো সে গরিব ছিলো, তাই ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি, নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। একদিন এমন হলো যে, ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কোথাও যাচ্ছিলেন, তখন সামনে দিয়ে সেই ব্যক্তিকে আসতে দেখা গেল। যেই মাত্র সেই লোকটি তাঁকে দেখল ভয়ে পথ পরিবর্তন করে নিলো এখন সে যেই গলি দিয়ে ঢুকেছিলো সেটি অন্য দিক থেকে বন্ধ ছিল। ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِও পেছনে চলে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন আমাকে দেখে ভয় পেলে কেন? সে বললো: আপনার ঋণ পরিশোধ করতে হবে আর নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে, আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে, আপনি ঋণ ফেরত চাইবেন, আমি এখন দিতে পারবো না, তাই ভয় পেয়ে পথ পরিবর্তন করলাম। এ কথা শুনে ইমাম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: দশ হাজারও কি এমন কোন জিনিস যার কারণে কোনো মুসলমানের হৃদয় বিচলিত করা হয়, যাও আমি তোমার দশ হাজার ক্ষমা করে দিলাম।

(আল খাইরাতুল হাসান, পৃষ্ঠা ৫৭)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد