Book Name:Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein
(আল খাইরাতুল হাসান, ৫০ পৃষ্ঠা)
শাবানুল মুয়াযযামের কিছু ইবাদত
আল্লাহ পাক আমাদেরকে অধিকহারে ইবাদত করার তৌফিক দান করো। اَلْحَمْدُ لِلّٰه শাবানুল মুয়াযযম এসে গেছে এবং আমরা এর বরকতময় মুহূর্তে নিঃশ্বাস নেওয়ার সৌভাগ্য লাভ করছি। শাবানুল মুয়াযযম একটি অত্যন্ত মহিমান্বিত মাস, এতে কল্যাণ ও বরকতের বর্ষণ হয়। রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: شَعْبَانُ الْمُطَہِّرُ وَرَمَضَانُ الْمُکَفِّرُ শাবান পরিশুদ্ধকারী এবং রমযান হলো কাফফারা। (জমে সগীর, পৃষ্ঠা ৩০১, হাদীস ৪৯০১)
এই মুবারক মাসে অধিকহারে ইবাদত করার চেষ্টা করুন। শাবানুল মুয়াযযমের চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, বেশি না হলেও অন্তত এই চারটি ইবাদতকে আমাদের অভ্যাসে পরিণত করা উচিত। اِنْ شَآءَ الله অনেক বরকত নসীব হবে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! শাবানুল মুয়াযযম হলো; নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মাস। হাদীস শরীফে এসেছে: شَہْرُ رَمَضَانَ شَہْرُ اللهِ وَ شَہْرُ شَعْبَانَ شَہْرِی রমযান হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার মাস। (জামে সগীর, পৃষ্ঠা ৩০১, হাদীস ৪৯০১) যেহেতু এটি প্রিয় নবীর মাস, তাই এতে বিশেষ ভাবে অধিক হারে দরূদে পাক পাঠ করা উচিত। শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: هو شَہْرُ الصَّلَاۃِ عَلَی النَّبِیِّ অর্থাৎ শাবান হলো রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি দরূদ পাঠ করার মাস। (গুনিয়াতুল ত্বালিবীন, ১/৩৪২)
অতএব এই মুবারক মাসে প্রচুর দরূদে পাক পাঠ করুন! হাদীসে বর্ণিত আছে: একবার দরূদ শরীফ পাঠ কারীর উপর ১০টি রহমত অবতীর্ণ হয়, তার দশটি পদমর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়, তার জন্য দশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়, তার দশটি গুনাহ মুছে দেওয়া হয়। (তিরমিযী, ১৪৪ পৃষ্ঠা, হাদীস ৪৮৪)
তদ্রূপ কুরআন তিলাওয়াত করাও শাবানুল মুয়াযযমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, বরং কতিপয় বর্ণনায় শাবানের নামই “شَہْرُ الْقُرْآن” (অর্থাৎ কুরআন তিলাওয়াতের মাস) রাখা হয়েছে। একটি বর্ণনায় রয়েছে: শাবানুল মুয়াযযম আল্লাহ পাকের দরবারে আরয করলো: হে আল্লাহ পাক! তুমি আমাকে দুটি মহিমান্বিত মাসের (রজব ও রমযান) মাঝখানে রেখেছো, আমার জন্য কী রেখেছো? ইরশাদ করলেন: আমি তোমার মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত রেখে দিয়েছি। (লাতায়িফুল মাআরিফ, ১৮৬ পৃষ্ঠা) * বর্ণিত আছে: সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এর অভ্যাস ছিল যখনই শাবান মাস আগমন করতো সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে কুরআন শরীফের তিলাওয়াতে মগ্ন হয়ে যেতেন। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৬) যেহেতু শাবান মাস কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের মাসও বটে।
হায়! আমাদেরও যেন এই তৌফিক নসীব হয়। আমরাও যেন এই বরকতম মাসে অধিক হারে তিলাওয়াতকারী হয়ে যাই।