Book Name:Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা শ্রবণ করলাম! আমাদের প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত মুসাদ্দাদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর স্বপ্নে এসে ইরশাদ করলেন: আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ থেকে জ্ঞান অর্জন করো এবং তাঁর চরিত্র, আদর্শ ও অভ্যাস অনুসরণও করো, কারণ আবু হানীফা অত্যন্ত ভালো মানুষ। আসুন! আমরা ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কিছু মুবারক অভ্যাস ও সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে শুনি এবং এই নিয়্যতে শুনি যে, اِنْ شَآءَ الله এই বিষয়গুলো অনুসরণ করে ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবো।
ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর পবিত্র অভ্যাস
ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ
এর বিশেষ শিষ্য ইমাম আবু ইউসূফ
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: (১) ইমামে আযম رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ সর্বদা হারাম কাজ থেকে বিরত থাকতেন (২) দ্বীনি জ্ঞান ব্যতীত কথা বলতে
ভয় পেতেন (৩) অত্যধিক মুজাহিদাহ (অর্থাৎ নেক কাজে অনেক চেষ্টা) করতেন (৪) দুনিয়াদারদের
সামনে তাদের প্রশংসা করতেন না (৫) অধিকাংশ সময় চুপ থাকতেন (৬) দ্বীনি মাসআলা নিয়ে চিন্তা
ভাবনা করতে থাকতেন (৭) খুব সাদামাটা ও নম্র ছিলেন (৮) কেউ যদি তাঁকে প্রশ্ন করতো তবে
কুরআন ও হাদীস থেকে তার উত্তর সন্ধান করতেন (৯) মুবারক স্বভাবে লোভ ছিল না (১০) আর
কারো আলোচনা হলে, ভালো ছাড়া কিছুই বলতেন না। (আল খাইরাতুল
হাসান, ৮২ পৃষ্ঠা)
ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একটি মুবারক বৈশিষ্ট্য ছিলো যে, তিনি কখনো কারো গীবত করতেন না, এমনকি কখনো তাঁর শত্রুরও গীবত করতেন না। একবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হযরত সুফিয়ান সাওরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে বললেন: ইমাম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কতটুকু গীবত থেকে বিরত থাকতেন...!! আমি শুনেছি, তিনি শত্রুরও গীবত করতেন না। হযরত সুফিয়ান সাওরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন; আল্লাহর শপথ! ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অত্যন্ত জ্ঞানী ছিলেন, আর তিনি কীভাবে পছন্দ করবেন যে, নিজের মূল্যবান নেক আমল গুলো গীবতের মাধ্যমে নষ্ট করে দিবেন। (তাবাইয়ুস সহীফা, ১১০ পৃষ্ঠা)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কত চমৎকার চরিত্র...!! একটু কল্পনা করুন! ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কখনো তাঁর শত্রুরও গীবত করেননি! اَللهُ اَكْبَرُ কত বড় তাকওয়া। তাহলে ভাবুন! তিনি কেন গীবত করতেন না? কারণ তিনি ছিলেন বুদ্ধিমান, তিনি জানতেন যে, নেকী করা সহজ কাজ নয়, নেকী করতে হলে নফস ও শয়তানকে দমন করতে হয়, কামনা বাসনা ত্যাগ করতে হয়, ঘুম ত্যাগ করতে হয়, এমন কষ্টার্জিত নেকী মানুষ গীবতের কয়েকটি বাক্যের বিনিময়ে কিভাবে নষ্ট করতে পারে, এটি কেমন বুদ্ধিমত্তা, তাই তিনি গীবত থেকে বিরত থাকতেন।