Book Name:Imam e Azam Ki Mubarak Aadatein
হে আশিকানে ইমাম আযম! আমাদের ইমাম ইমামে আযম
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ * সুন্দর চেহারা বিশিষ্ট ছিলেন * মধ্যম আকৃতির
ছিলেন
* তিনি খুবই
বুদ্ধিমান ছিলেন, তাঁর চালচলন ও অভ্যাস এবং আচরণ প্রজ্ঞার পরিচয় দিত
* পোশাক পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন রাখতেন * তিনি খুব দয়ালু ছিলেন * মুসলমান ভাইদের সাহায্য করতেন * অনেক বড়
ইবাদত গুজার * দুনিয়া বিমুখ ছিলেন * আল্লাহ পাকের মারিফাত লাভকারী ছিলেন
* অধিক খোদাভীরু
ছিলেন * সর্বদা আল্লাহ
পাকের সন্তুষ্টির সন্ধানে ব্যস্ত থাকতেন। (তারিখে বাগদাদ,
১৩/৩৩১-৩৩৯)
প্রত্যেক নামাযের পর দোয়া করুন!
আল্লামা খাতীব তাবরিযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: আইম্মায়ে যহুদ (তাসাউফ ও তরীকতের ইমাম) বলেন: মুসলমানদের জন্য আবশ্যক হলো যে, নিজেদের নামাযের পর ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জন্য দোয়া করা কারণ ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ঐ মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি উম্মাতের কল্যাণকামী হয়ে সুন্নাতের এবং ফিকাহ শাস্ত্রের সংরক্ষণ করেছেন।
(আল খয়রাতুল হিসান, ৪৬ পৃষ্ঠা)
ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাবেয়ী ছিলেন
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের ইমাম, ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হলেন তাবেয়ী অর্থাৎ তিনি * হযরত আনাস ইবনে মালিক * হযরত আব্দুল্লাহ যুবাইদী * হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ * হযরত মাকাল ইবনে ইয়াসার رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ সহ অনেক সাহাবীর যিয়ারতও করেছেন এবং তাঁদের অনেকের কাছ থেকে হাদীসও শ্রবণ করেছেন। (তাবীযুস সহীফা, পৃষ্ঠা ৩৩) আর তাবেয়ীর কী অপরূপ মহিমা? কুরআনের আয়াত শ্রবণ করুন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ الَّذِیْنَ اتَّبَعُوْھُمْ بِاِحْسَانٍ ۙ رَّضِیَ اللّٰہُ عَنْہُمْ وَ رَضُوْا عَنْہُ وَ اَعَدَّ لَہُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ تَحْتَہَا الْاَنْہٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْہَاۤ اَبَدًا ؕ ذٰلِکَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ (۱۰۰)
(পারা ১১, তাওবা, আয়াত ১০০) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর সবার মধ্যে অগ্রগামী প্রথম মুহাজির ও আনসার আর যারা সৎকর্মের সাথে তাঁদের অনুসারী হয়েছে, আল্লাহ পাক তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাঁরাও আল্লাহ্র প্রতি সন্তুষ্ট; আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন বাগানসমূহ (জান্নাতসমূহ), যেগুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান, তাঁরা সদা সর্বদা সেগুলোর মধ্যে অবস্থান করবে, এটাই হচ্ছে মহা সাফল্য।
প্রখ্যাত মুফাসসীর মুফতী আহমদ ইয়ার
খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ উক্ত আয়াতের সারসংক্ষেপ
বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেন: অর্থাৎ হে প্রিয় নবী
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনার সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ
الرِّضْوَان মধ্যে অগ্রগামী মুহাজির
ও আনসার এবং যারা কল্যাণের সহিত তাঁদের অনুসরণ করে (যেমন; তাবেয়ীনে কিরাম رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام)
তাদের মহিমা হলো যে, আল্লাহ পাক তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরা আল্লাহ
পাকের প্রতি