Lazzat e Ibadat

Book Name:Lazzat e Ibadat

সাপটিকে মেরে ফেললো এতো কিছু হওয়ার পরও হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর
رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا তেমনি ভাবেই নামায পড়ছিলেন (তারিখে দামেস্ক, ২৮/ ১৭৪)

    হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا যখন সিজদায় যেতেন তখন এতো লম্বা সিজদা করতেন যে, পাখিরা তাঁর পিট মোবারককে দেয়ালের অংশ মনে করে সেটার উপর বসে যেতো (তারিখে দামেস্ক, ২৮/১৭৩)

    হযরত ইবনে আবু মুলায়কা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আল্লাহ পাকের শপথ! আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا মতো কাউকে দেখিনি, একদিন তিনি নামায পড়ছিলেন তখন মানজানিক (অর্থাৎ পাথর নিক্ষেপ করার যন্ত্র) দ্বারা চালানো একটি পাথর তাঁর দাঁড়ি বুকের মাঝখান দিয়ে অতিত্রুম করলো, কিন্তু হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا এমন একাগ্রতা বিনয় সহকারে নামায আদায় করছিলেন যে, আল্লাহ পাকের শপথ! তাঁর চোখে না কোন ভয় ছিলো আর না কিরাতের মধ্যে কোন ব্যতিত্রুম হলো, তিনি যেভাবেই প্রশান্তির সাথে নামায আদায় করছিলেন, তেমনিভাবেই আদায় করতে রইলেন (তারিখে দামেস্ক, ২৮/ ১৭০)

(৫) হযরত রাবেয়া বসরিয়া ও ইবাদতের স্বাদ

    হযরত রাবেয়া বসরিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْها দিন রাত ইবাদতের মধ্যে অতিবাহিতকারী ছিলেন, তিনি প্রতিদিন এক হাজার রাকাত নফল আদায় করতেন আর তিনি ৫০ বছর  এভাবে অতিবাহিত রাখেননি কখনো বালিশে মাথা রাখলেন না তাম্বীহুল গাফেলীন রয়েছে: প্রতি দিনের ন্যায় একদিন হযরত রাবেয়া বসরিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْها নামায আদায় করছিলেন, যখন তিনি সিজদায় গেলেন তখন চাটায়ের খড় তাঁর চোখে গিয়ে পড়লো, তিনি এমন একাগ্রতার সাথে আল্লাহ পাকের দরবারে মনোযোগ ছিলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযে রইলেন খড় পড়ার বিষয়টি অনূভব পর্যন্ত হলো না (তাম্বীহুল গাফেলীন, ৩০৮ পৃষ্ঠা)

    মীর আব্দুল ওয়াহিদ বিলগারামী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: নামাযের পর তিনি কাউকে বললেন: দেখুন তো আমার চোখে কোন কিছু আটকে আছে কিনা। দেখা গেলো জায়নামাযের (চাটায়ের ছোট খড়) চোখের মধ্যে লেগে আছে আর এতে চোখে জখম হয়ে গেছে। যে দেখলো সে বললো: হে সায়্যিদ! আপনার চোখে জখম হয়েছে আর