হোক * তিলাওয়াত করার সময় অশ্রু প্রবাহিত হোক * আল্লাহ পাকের দরবারে প্রার্থনার স্বাদ অনূভব করুক * দরূদ শরীফ পাঠ করলে তখন মন ইশকে মুস্তফায় পূর্ণ হোক * সবুজ গম্বুজের কল্পনায় বিভোর থাকুক * ইবাদতের মাঝখানে মন্দ খেয়াল বিরক্ত না করুক তবে তার উচিত গান বাজনা শুনা থেকে বেঁচে থাকা * চোখ, কান ও হাত এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গকে গুনাহ থেকে হেফাযত করা * অহেতুক কথা থেকে বেঁচে থাকা * মিথ্যা * গীবত * চুগলী * অপবাদ দেয়া ইত্যাদি  থেকে সব সময় দূরে থাকা, اِنْ شَآءَالله অন্তর নরম হবে ও ইবাদতের স্বাদ নসীব হবে। 

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

পরকালের চিন্তাভাবনার অভ্যাস গড়ুন!

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যে বান্দা ইবাদতের স্বাদ পেতে চায়, তার উচিত দুনিয়ার ভালোবাসা অন্তর থেকে বের করে দেয়া এবং আখিরাতের চিন্তাভাবনা করার অভ্যাস করা। এর বরকতে اِنْ شَآءَالله ইবাদতে স্বাদ ও প্রশান্তি নসীব হবে। হযরত আবু আব্দুল্লাহ কুরশী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এক ব্যক্তি কোন নেককার বুযুর্গের খেদমতে আরজ করলো: জনাব! নেকী করছি কিন্তু অন্তরে নেকীর স্বাদ পায় না। আল্লাহ পাকের ঐ নেককার বান্দা বললেন: তোমার অন্তরে ইবলিসের কন্যা অর্থাৎ দুনিয়া বসবাস করে আর নিশ্চিত তার পিতা (অর্থাৎ শয়তান) তার কন্যা (দুনিয়া)’র সাথে সাক্ষাত করার জন্য তোমার হৃদয়ে আসতে থাকে, স্পষ্ট যে, ইবলিস যখনই তোমার অন্তরে আসবে, ফ্যাসাদ ছড়িয়ে দিবে, এই কারণে তুমি নেকীর স্বাদ পাওনা। (তাফসীরে রুহুল বয়ান, পারা: ৪, সূরা আলে ইমারান, ১৮৯ আয়াতের পাদটীকা ২/১৪৯) বর্ণিত আছে: আল্লাহ পাক তাঁর নবী হযরত দাউদ عَلَیْہِ السَّلَام কে ইরশাদ করলেন: হে দাউদ! যদি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে মন থেকে দুনিয়ার ভালোবাসা বের করে দাও! নিশ্চয় আমার ভালোবাসা ও দুনিয়ার ভালোবাসা এক অন্তরে একত্রিত হতে পারে না।  (মুকাশাফাতুল কুলুব, ৩১৭ পৃষ্ঠা)