আপনার অনূভব পর্যন্ত হলো না? বললেন: আমি নামাযে ছিলাম, আর এই ঘটনা ঘটলো, যখন আমি আমার প্রতিপালকের সামনে থাকি, যদি সমস্ত দোযখ আমার চোখের সামনে দিয়ে অতিত্রুম করে তখন খোদাভীতির কারণে আমার অনুভবও হবে না। (সাবয়ু সানাবিল, পৃষ্ঠা: ৯৩)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ইবাদতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকার কুফল

    হে আশিকানে রাসূল! আপনারা শুনলেন যে, আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন কিভাবে  একাগ্রতা ও বিনয় সহকারে আল্লাহ পাকের যিকিরে মগ্ন হয়ে অত্যন্ত প্রশান্তির সাথে ইবাদত করতেন। আল্লাহ পাক আমাদেরকেও ইবাদত ও রিয়াযতে এমন প্রশান্তি নসীব করুন। ইমাম হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মানুষ নামায, কুরআন ও দোয়া এই ৩টি জিনিসের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে গিয়েছে, যদি তোমাদের এই তিনটি জিনিসের স্বাদ নসীব হয়ে যায় তাহলে আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, যদি মানুষের এটি না মিলে তাহলে জেনে নাও তাদের উপর কল্যাণের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। (শুয়াবুল ঈমান, ৫/৪৪৭,  হাদীস: ৭২২৬)

    اَللهُ اَكْبَرُ! গভীর চিন্তা করুন! নামায, তিলাওয়াত ও দোয়ার স্বাদ থেকে  বঞ্চিত হয়ে যাওয়া কেমন ক্ষতিকর!!! আফসোস! আজ আমাদের অবস্থা কিছুটা এরকমই * নামাযে আমাদের মন স্থির থাকে না * তিলাওয়াতের কথা বলা হলে হয়তো অনেক মাস অতিবাহিত হয়ে যায় * তিলাওয়াতের দিকে মনোযোগও থাকে না * হ্যাঁ! একটি দোয়া রয়েছে যেটা আমরা নামাযের পর করে থাকি * সেটাও কিভাবে করি? * আমাদের দোয়া করার ধরন কেমন হওয়া উচিত? * দোয়ার মধ্যে আমাদের মনোযোগ কোথায় থাকে? * দোয়ার মধ্যে একাগ্রতা ও বিনয় কোথায় থাকে? এসব বিষয়ে গভীর চিন্তা করুন।

    অনেক আফসোসের বিষয়! * আমরা ইবাদত থেকে, জীবনের আসল উদ্দেশ্য থেকে দূরে রয়েছি * নামাযের প্রতি আগ্রহ ও স্পৃহা খুবই কম * দোয়া করার প্রতি আগ্রহ খুবই কমে গিয়েছে * আমরা কুরআনে করীমকে আদব সহকারে আলমারীতে সাজিয়ে রেখেছি কিন্তু সেটা তিলাওয়াত করে আমাদের অন্তরের মরিচা দূর করিনি তাই