Book Name:Lazzat e Ibadat
অন্তরের কঠোরতা দূর হয়ে থাকে এবং আখিরাতের চিন্তাভাবনা নসীব হয়ে থাকে। হযরত জাফর বিন সুলায়মান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি যখন নিজের অন্তরে কঠোরতা অনূভব করতাম তখন সকাল সকাল হযরত মুহাম্মদ বিন ওয়াসি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ’র খেদমতে উপস্থিত হয়ে যেতাম, সেটার বরকতে আমার উপকারীতা অর্জন হতো। (হিলয়াতুল আউলিয়া, ২/৩৯৫)
ফাতাহ মুহাম্মদ নামাযী হয়ে গেলো!
মিয়া শের মুহাম্মদ শারকপুরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মুরশিদের দেশের প্রসিদ্ধ আউলিয়ায়ে কেরামগণের মধ্য হতে একজন, একদিন তাঁর এক মুরিদ তাঁর খেদমতে আরজ করলো: হুযুর! আমার এক ছেলে আছে: ফাতাহ মুহাম্মদ। আমি তাকে অনেক বড় আশা নিয়ে হাফিযে কুরআন বানিয়েছি কিন্তু সে নামায পড়ে না। মিয়া শে’র মুহাম্মদ শারকপুরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। সুতরাং মুরিদ ২দিন পর তার ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত হলো আর আরজ করলো: হুযুর! ফাতাহ মুহাম্মদ হাজির। মিয়া শের মুহাম্মদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ খুবই আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞাসা করলেন: ফাতাহ মুহাম্মদ নামায কেন পড়ো না? আরজ করল: নামাযে আমার মন বসে না, যদি নামায পড়াতে চান তাহলে মন বসিয়ে দিন।
মিয়া শের মুহাম্মদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চাটায়ের উপর শায়িত ছিলেন, ফাতাহ মুহাম্মদের কথা শুনে জ্বালালিয়্যতে এসে উঠে বসে গেলেন আর কনিষ্টা আঙ্গুল দিয়ে তার অন্তরের দিকে ইশারা করলেন: যাও! এখন থেকে মন বসবে। ব্যস, আল্লাহ পাকের অলিয়ে কামিল এতোটুকুই বলেছিলো, ফাতাহ মুহাম্মদের এই অবস্থা হলো যে, যোহরের নামায শুরু করতো তো আসর পর্যন্ত যোহরই পূর্ণ হতো, ইশার নিয়্যত বাঁধলে তখন ফজর হয়ে যেতো। (মাওয়ায়িযে নঈমীয়া, ৩১৬-৩১৭ পৃষ্ঠা)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রতীয়মান হলো! ইবাদতের স্বাদ অর্জন করতে হলে তবে এটার জন্য নেককার লোকদের খেদমতে উপস্থিত হওয়া চাই, কে জানে কখন দয়ার দৃষ্টি পড়ে যায় আর ফাতাহ মুহাম্মদের মতো ব্যস এক নজরেই আমাদের অন্তরও আলোকিত হয়ে যায়।