Book Name:Lazzat e Ibadat
অবস্থা হবে? * পুলসিরাত কিভাবে পার করবো? * হায়! ঠিকানা কি জান্নাত হবে নাকি জাহান্নাম? * আমাদের মনোযোগ না থাকলে তো এসব বিষয়ে থাকতো না।
হায়! আমরা যদি আখিরাতের ব্যাপারে চিন্তাশীল হয়ে যেতাম, হায়! ইবাদতের স্পৃহা যদি মিলে যেতো, হায়! শতকোটি আফসোস! দুনিয়ার ভালোবাসা মন থেকে বের হয়ে যেতো, হায়! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের মনোভাব নসীব হয়ে যেতো।
পারা ২৭, সূরা যারিয়াত, আয়াত: ৫৬ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ
(পারা ২৭, সূরা যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি ।
এই আয়াত দ্বারা বুঝা গেলো, আমরা এই দুনিয়াতে আল্লাহ পাকের ইবাদতের জন্য এসেছি। সুতরাং আমাদের উচিত ইবাদতকে প্রতিটি জিনিসের চেয়ে গুরুত্ব দেয়া, বাকী বিষয় গুলো কিছু ছুটে যায় তো ছুটে যাক, ইবাদতের মধ্যে অলসতা একেবারে আসতে না দেয়া। হযরত সুফিয়ান বিন উয়াইনা رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত কাইস বিন মুসলিম
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র অভ্যাস ছিলো যে, তিনি সারা রাত নামায পড়তেন, সাহরির সময় বসে যেতেন আর আল্লাহ পাকের দরবারে কান্নাকাটি করে বলতেন: এটি ঐ কাজ, যেটার জন্য আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, আল্লাহ না করুক যদি আমাদের শেষ পরিণতি ঈমানের উপর না হয় তবে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো। (সিফাতুল সফওয়া, ৩য় অংশ, ২/ ৮৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইবাদত ও রিয়াযতের তাওফিক দান করুন। বিশ্বাস করুন! দুনিয়াতে যা কিছু আছে, আল্লাহ পাকের ইবাদত এগুলোর চেয়ে বেশি সুস্বাদু। সমস্যা হলো এটাই যে, আমরা দুনিয়াবী স্বাদের মধ্যে মগ্ন হয়ে গেছি, ইবাদত ও রিয়াযতের যে গুরুত্ব রয়েছে, আমরা সেই গুরুত্বটুকু দিচ্ছি না, এজন্য আমাদের