Book Name:Lazzat e Ibadat
ওয়াজিব (আবশ্যক) করে দেয়া হয় এবং ইবাদত করার দুনিয়াতে প্রতিদান ও সাওয়াব এটাই যে, বান্দার ইবাদতের স্বাদ মিলে আর যখন বান্দা সম্পূর্ণ ইবাদত একনিষ্টতার সাথে পূর্ণ করে তখন আল্লাহ পাক তার আমল কবুল করে নেয় আর আমল কবুল হওয়ার আলামত হলো; তাকে আরো উত্তম নেকীর সামর্থ্য দান করা হয়। (তাম্বীহুল গাফেলীন, ৩৪১ পৃষ্ঠা)
পাষাণ হৃদয় ইবাদতের স্বাদ লাভের ক্ষেত্রে বাধা
হে আশিকানে রাসূল! ইবাদতের স্বাদ নসীব না হওয়ার সবচেয়ে বড় ও অন্যতম কারণ অন্তরের কঠোরতা, যদি আমাদের অন্তরে নম্রতা নসীব হয়ে যায় তবে اِنْ شَآءَالله ইবাদতের স্বাদও নসীব হয়ে যাবে। সুতরাং যে ইবাদতের স্বাদ পেতে চায়, তার উচিত নিজের মনকে নরম করা, এমন আমল করার অভ্যাস করুন যেটা অন্তর নরম করে কেননা প্রতিটি ঐ কাজ যা অন্তর নরম হওয়ার মাধ্যম, সেটার বরকতে ইবাদতের স্বাদও নসীব হয়ে যায় আর প্রতিটি ঐ কাজ যা অন্তর কঠোরতার কারণ সেটা ইবাদতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করে।
গুনাহের কারণে হৃদয় পাষাণ হয়ে থাকে
উদাহরণ স্বরূপ গুনাহের কারণে অন্তর পাষাণ হয়ে থাকে আর তাওবার বরকতে অন্তরের নম্রতা নসীব হয়ে থাকে, সুতরাং যে বান্দা গুনাহের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে, তার ইবাদতের স্বাদ পাওয়াটা কঠিন। একবার হযরত উহাইব বিন ওয়ারদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র খেদমতে আরজ করা হলো: যে বান্দা আল্লাহ পাকের নাফরমানী করে, তার কি ইবাদতের স্বাদ অর্জন হবে না? বললেন: হ্যাঁ! যে গুনাহ করে তারও ইবাদতের স্বাদ নসীব হয় না আর যে গুনাহের ইচ্ছাপোষণ করে সেও ইবাদতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকে। (শুয়াবুল ঈমান, ৫/৪৪৭, হাদীস: ৭২২৫)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন খাবিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: “অহেতুক কথাবার্তা শুনা” অন্তর থেকে ইবাদতের স্বাদের নূর নিভিয়ে দেয়।
(হিলয়াতুল আউলিয়া, ১০/ ১৭৭)
اَللهُ اَكْبَرُ! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! গান বাজনা * মিথ্যা * গীবত * চোগলী ইত্যাদি গুনাহে ভরা কথাবার্তা অশ্লীল কথা, এসব শুনার দ্বারা ইবাদতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়, সুতরাং যে চাই যে, তার ইবাদতে মন বসে যাক * নামায পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি