Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj
নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সকালে জাগ্রত হলেন এবং রাতের ঘটনাবলী কুরাইশদের সামনে বর্ণনা করতে লাগলন, তখন কুরাইশের সর্দাররা খুবই আশ্চর্য হলো এমনকি কিছু দূর্ভাগা প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে مَعَاذَ الله মিথ্যুক বললো এবং অনেকে প্রশ্ন (Questions) করা শুরু করলো। যেহেতু কুরাইশদের অধিকাংশ সর্দারগণ অনেকবার বায়তুল মুকাদ্দাস দেখেছে, তারা এটাও জানতো যে, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কখনোই বায়তুল মুকাদ্দাস যাননি, তাই পরীক্ষামূলক নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কাছ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসের দরজা প্রাচীর ও মেহরাব ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো। তখন আল্লাহ পাক সাথেসাথেই প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নবুয়তের দৃষ্টির সামনে বায়তুল মুকাদ্দাসের সম্পূর্ণ ভবনের নকশা উপস্থাপন করে দিলেন। সুতরাং সেই অমুসলিমরা প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে প্রশ্ন করতো আর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ভবনটি দেখে দেখে তাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দিয়ে দিতেন। (সীরাতে মুস্তফা, ৭৩৫ পৃষ্ঠা)
আল্লাহর দয়া মারহাবা মেরাজের মহত্ব মারহাবা
আকসার শওকত মারহাবা বুরাকের কিসমত মারহাবা
বুরাকের দ্রুততা মারহাবা নবীগণের ইমামত মারহাবা
প্রিয় নবীর মর্যাদা মারহাবা আসমানের পরিভ্রমন মারহাবা
মকীনে লা-মকানের মহত্ব মারহাবা
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! মে’রাজের ঘটনার সত্যায়নেই ঈমানের পরীক্ষা, কেননা সংক্ষিপ্ত সময়েই জাগ্রত অবস্থায় শরীর মুবারক সহকারে আসমান ও আরশে আযীম পর্যন্ত বরং আরশ থেকেও উপরে লা-মকান পর্যন্ত তাশরীফ নিয়ে যাওয়া, জ্ঞানের বাইরে, এই কারণেই সেই লোকেরা যাদের অন্তর ঈমানের নূর দ্বারা পূর্ণ ছিলো না, তারা এই মহান ঘটনা শুধু প্রত্যাখ্যান করলো না বরং বিভিন্ন ভাবে তা নিয়ে ঠাট্টাও করেছে, কিন্তু যার অন্তরে পরিপূর্ণ ঈমানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত ছিলো, সে কোন প্রকার পেরেশানি ও সন্দেহের বশবর্তী হয়নি আর কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়াই এই মুজিযাকে স্বীকার করে নেয়, যেমনটি আমিরুল মুমিনিন হযরত সিদ্দিকে আকবর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কে বর্ণিত আছে: