Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj

    হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নাঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর হিকমত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত উম্মে হানি বিনতে আবি তালিব رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, ফিরিশতারা এখান থেকে জাগিয়ে তাঁকে কাবার হাতিমে নিয়ে আসলেন, তখনও প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মাঝে তন্দ্রা ভাব ছিলো, অতঃপর সেখানে গোসল করালেন, দুনিয়াবী দুলাকে (বরকে) গোসল করানো হয়, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তো এমন অনন্য দুলহা যে, তাঁর হৃদপিন্ডকেও গোসল দেয়া হলো যমযমের পানি অন্যান্য পানির চেয়ে উত্তম, কেননা তা হযরত ইসমাঈল عَلَیْہِ السَّلَام এর কদম থেকেই প্রবাহিত হয়েছে, তাই এই পানি সেই গোসলের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে ঈমান প্রজ্ঞা ঢেলে প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বক্ষকে পূর্ণ করে তা সেলাই করে দেয়া হয়েছে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অন্তর শরীফে পূর্ব থেকেই ঈমান প্রজ্ঞা বিদ্যমান ছিলো, এটাও (ঈমান প্রজ্ঞা) আধিক্যের জন্যই করা হয়েছে (মিরাতুল মানাজিহ, /১৫২) (সকল পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত নবী করীম
 صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ) বক্ষ মুবারক পূর্ব থেকেই নূরানী ছিলো, এখন নূরুন আলা নূর হয়ে গেলো, স্বর্ণ ছিলো জান্নাতি, পানি যমযমের, জান্নতি স্বর্ণের পাত্রে হেরেমের পানি শরীফ, سُبْحٰنَ الله! সোনায় সোহাগা (মিরাতুল মানাজিহ, /১৩৬)

বক্ষ বিদীর্ণ করার হিকমত

    মাকতাবাতুল মদীনার কিতাব “সীরাতে মুস্তফা এর ৭৯ ও ৮০নং পৃষ্ঠায় রয়েছে: প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র বক্ষ চারবার বিদীর্ণ করা হয়েছিলো। * প্রথমবার যখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত হালিমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর ঘরে ছিলেন। এর হিকমত হলো: রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যেন সেই সকল কুমন্ত্রণা ও মনোভাব থেকে নিরাপদ থাকেন, যাতে বাচ্চারা লিপ্ত হয়ে খেলাধুলা ও দুষ্টামির দিকে ধাবিত হয়। * দ্বিতীয়বার ১০ বছর বয়সে হয়েছিলো, যেন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যৌবনের চাহিদার বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যান। * তৃতীয়বার হেরা গুহায় বক্ষ বিদীর্ণ হয়েছিলো এবং রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অন্তরে নূর ও প্রশান্তি পূর্ণ করে দেয়া হয়েছিলো, যেন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ পাকের ওহীর মহান দায়িত্ব সহ্য করতে