Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj
হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; রাসূলে করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে রাতে আমার মিরাজ হয়েছে, আমি জান্নাতের দরজায় লিখা দেখলাম যে, সদকার সাওয়াব ১০গুণ এবং ঋণের ১৮ গুণ। আমি জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام কে জিজ্ঞাসা করলাম: কি এমন কারণ যে, ঋণের মর্যাদা সদকা থেকে বেড়ে গেলো? তিনি বললেন: ভিক্ষুকের কাছে সম্পদ থাকে, তবুও ভিক্ষা করে আর ঋণ গ্রহিতা চাহিদার ভিত্তিতেই ঋণ গ্রহন করে থাকে।
(ইবনে মাজাহ, কিতাবুস সাদাকাত, ৩৮৯ পৃষ্ঠা, হাদীস ২৪৩১)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ণনাকৃত হাদীসে মুবারাকা থেকে যেমনিভাবে জানা যায়, কোন মুসলমানের ঋণ গ্রহনের প্রয়োজন হয়, তবে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি এবং আরো ভালো ভালো নিয়্যত সহকারে সামর্থ্যানুযায়ী ঋণ দিয়ে অসংখ্য প্রতিদান ও সাওয়াব অর্জন করা উচিৎ আর তেমনিভাবে জানা গেলো, আল্লাহ পাকের পথে ব্যয়কারীরও দশ (১০) গুণ সাওয়াব অর্জিত হয়।
আসুন! আল্লাহ পাকের পথে ব্যয় করার প্রেরণা পাওয়ার জন্য সদকার ফযীলত সম্পর্কে ৮টি হাদীসে মুবারাকা শ্রবণ করি।
১. ইরশাদ হচ্ছে: সদকা অমঙ্গলের (গুনাহের) সত্তরটি (৭০) দরজা বন্ধ করে দেয়। (মু’জামুল কাবীর, ৪/২৭৪, হাদীস ৪৪০২)
২. ইরশাদ হচ্ছে: প্রত্যেক ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) নিজের সদকার ছায়ায় থাকবে, এমনকি মানুষের মাঝে ফয়সালা করে দেয়া হবে।
(মু’জামুল কাবীর, ১৭/২৮০, হাদীস ৭৭১)
৩. ইরশাদ হচ্ছে: নিশ্চয় সদকা প্রদানকারীকে সদকা কবরের উষ্ণতা থেকে রক্ষা করবে এবং নিঃসন্দেহে মুসলমান কিয়ামতের দিন সদকার ছায়ায় থাকবে। (শুয়াবুল ঈমান, বাবুয যাকাত, ৩/২১২, হাদীস ৩৩৪৭)
৪. ইরশাদ হচ্ছে: নিশ্চয় সদকা আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টিকে নিবারন করে এবং মন্দ মৃত্যুকে দূর করে। (তিরমীযি, কিতাবুয যাকাত, ২/১৪৬, হাদীস ৬৬৪)