Book Name:Shab e Barat Kese Guzarain
তাঁর বান্দার তাওবা কবুল করার ওয়াদা নিজের পবিত্র কালামে ইরশাদ করেন।
৬ষ্ঠ পারা সূরা মায়েদার ৩৯নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
فَمَنۡ تَابَ مِنۡۢ بَعۡدِ ظُلۡمِہٖ وَ اَصۡلَحَ فَاِنَّ اللّٰہَ یَتُوۡبُ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ (۳۹)
(পারা ৬, সূরা মায়েদা, আয়াত ৩৯)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেকে অত্যাচার করার পর তাওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, তবে আল্লাহ আপন অনুগ্রহ সহকারে তার প্রতি ফিরে চান। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
তাফসীরে সীরাতুল জিনানে রয়েছে: তাওবা খুবই উন্নত ও খুবই অনন্য একটি বিষয়, যত বড় গুনাহই হোক, যদি তা থেকে তাওবা করে নেয় তবে আল্লাহ পাক তাঁর হক ক্ষমা করে দেন এবং তাওবাকারীদের আখিরাতের আযাব থেকে মুক্তি দিয়ে দেন।
(তাফসীরে সীরাতুল জিনান, ৬ষ্ঠ পারা, সূরা মায়েদা, ৩৯নং আয়াদের পাদটিকা, ২/৪৩০)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো! তাওবা করা খুবই উত্তম ও পছন্দনীয় কাজ, আল্লাহ পাক তাওবাকারীকে অনেক পছন্দ করেন, যে ব্যক্তি সত্যিকার তাওবা করে, তাকে আল্লাহ পাকের দরবার থেকে নেয়ামত দ্বারাও ধন্য করা হয়, তাওবাকারী আল্লাহ পাকের পছন্দনীয় বান্দা হয়ে যায়। কিন্তু আফসোস! এরূপ নেয়ামতের পরও আমরা আমাদের প্রতিপালকের অবাধ্যতায় লিপ্ত আছি আর তাওবা করতে বিভিন্ন বাহানায় দেরী করছি। অথচ প্রতিদিন জানিনা কতজনের মৃত্যুর সংবাদ শুনছি, যেমন; অমুক ক্যান্সারের রোগী ছিলো, মারা গেলো, অমুক হার্ট এ্যটাকে হঠাৎ মারা গেলো, অমুক রাতে আনন্দে ঘুমিয়েছিলো কিন্তু সকালে আর চোখ খুললো না, অমুক কালই টেষ্ট করিয়ে এসেছে কিন্তু আজ জীবন সংগ্রামে হেরে গেছে।