কারণে পরিবারের লোকেরা অথবা বন্ধুবান্ধব অসন্তুষ্ট এজন্য লজ্জা লাগছে, এমন লজ্জা তাওবার জন্য যথেষ্ট নয় বরং তাওবার জন্য আবশ্যক রয়েছে যে, সুদকে আল্লাহ পাকের নাফরমানি মনে করে আল্লাহ পাকের আযাবকে ভয় করতে করতে যেন লজ্জিত হয় (২) ২য় রুকন হচ্ছে: বান্দা ঐ গুনাহকে সাথে সাথেই ছেড়ে দিবে, এমন যেন না হয় গুনাহও করছে আর তাওবা করছে এটা তাওবা নয় বরং আল্লাহর পানাহ! ঠাট্টা উপহাস। সত্য তাওবার জন্য আবশ্যক: গুনাহ যেন ছেড়ে দেয়, এরপর তাওবা করবে (৩) সত্য তাওবার তৃতীয় রুকন হচ্ছে: আগামীতে ঐ গুনাহ না করার দৃঢ় ইচ্ছা যেন করে নেয়। এই তিনটি রুকন পরিপূর্ণ হলে তখন সেটাকে সত্য তাওবা বলা হবে।

অন্তর থেকে হিংসা বিদ্বেষ দূর করে দিন

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ননা অনুযায়ী যে দুর্ভাগা শবে বরাতের মতো মহান রাতেও ক্ষমা ও মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত থাকে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে হিংসা বিদ্বেষ পোষনকারী। অর্থাৎ যে বান্দা নিজের অন্তরে কোনো মুসলমান ভাইয়ের শত্রুতা পোষন করে তার জন্য ঐ রাতে ক্ষমা থেকে বঞ্চিত থাকার সতর্কবাণী রয়েছে।

    নিশ্চয় আমাদের মধ্য থেকে প্রত্যেকে মাগফিরাত ও ক্ষমার প্রার্থনাকারী আর প্রত্যাশি রয়েছে, এজন্য এই সকল গুনাহ থেকে তাওবা করার সাথে সাথে আবশ্যক হচ্ছে যে, আমরা যেন নিজের অন্তর পবিত্র করে নেয়, অন্তরে কারও বিদ্বেষ আক্রোশ (অর্থাৎ গোপন শত্রুতা) কারও ব্যাপারে হিংসা, কারও জন্য যেন ময়লা না থাকে।

প্রশান্ত অন্তর কাকে বলে?

    পারা ১৯, সূরা শুয়ারা, আয়াত নং ৮৯ এর মধ্যে রয়েছে:

اِلَّا  مَنۡ  اَتَی اللّٰہَ  بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ (ؕ۸۹)