Book Name:Shab e Barat Kese Guzarain
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! যেমনিভাবে পাখিটি কাদায় লুটোপুটি খাওয়ার পর পানিতে গোসল করে পরিস্কার পরিছন্ন হয়ে যায়, তার সৌন্দর্য ফিরে আসে, তেমনিভাবে ঈমানদারের তাওবার মাধ্যমে গুনাহের কালো দাগ দূর হয়ে যায়, তাওবা করাতে গুনাহ ধুয়ে যায় এবং ঈমানের নূর ফিরে আসে, কেননা তাওবার পরিবর্তে ভূলত্রুটি মিটিয়ে দেয়া, গুনাহের ক্ষমা এবং জান্নাতের ন্যায় মহান নেয়ামত দান করার ওয়াদা তো আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র কালামে করেছেন, যেমনটি ২৮তম পারা সূরা তাহরিমের ৮নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ تَوۡبَۃً نَّصُوۡحًا ؕ عَسٰی رَبُّکُمۡ اَنۡ یُّکَفِّرَ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ یُدۡخِلَکُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۙ
(পারা ২৮, সূরা তাহরিম, আয়াত ৮)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর প্রতি এমন তাওবা করো যা আগামীর জন্য উপদেশ হয়ে যায় অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ তোমাদের থেকে মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে ওই বাগানসমূহে নিয়ে যাবেন, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই আয়াতে করীমায় تَوْبَۃُ النَّصُوْح (তাওবাতুন নাসুহা) এর উল্লেখ রয়েছে। আমীরুল মুমিনিন হযরত ওমর বিন খাত্তাব رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে “تَوْبَۃً نَّصُوْحًا” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তখন তিনি বলেন: এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, কোন ব্যক্তি নিজের কোন খারাপ আমল থেকে এমন তাওবা করা যে, অতঃপর আর কখনোই সেই গুনাহে লিপ্ত না হওয়া।
সাহাবিয়ে রাসূল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত; রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “تَوْبَۃً نَّصُوْحًا” হলো এমন তাওবা, যার দ্বারা সমস্ত গুনাহ ক্ষমা হয়ে যায়।
(তাফসীরে দুররে মনসুর, ২৮তম পারা, আত তাহরিম, ৮নং আয়াতের পাদটিকা, ৮/২২৭)