Shab e Barat Kese Guzarain

Book Name:Shab e Barat Kese Guzarain

আহবান করছিলো: আছে কেউ তাওবাকারী, তার তাওবা কবুল করা হবে * ৯ম দরজার ফেরেশতা ঘোষণা করছিলো: আছে কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারি, যাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে * ১০ম দরজার ফেরেশতা ঘোষণা করছিলো: আছে কেউ দোয়াকারী, তার দোয়া কবুল করা হবে

    আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী রাসুলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই রহমতপূর্ণ দৃশ্য দেখার পর ইরশাদ করলেন: হে জিবরাঈল! এই দরজা কতক্ষণ খোলা থাকবে? আরয করলো রাতের শুরু থেকে ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত দরজা এভাবে খোলা থাকবে (ইবনে আসাকির, ৫১তম খন্ড, ৭২-৭৩ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

শবে বরাত ফেরেশতাগণের ঈদের রাত

    হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: বলা হয়েছে; যেভাবে মুসলমানদের জন্য ঈদের দুটি দিন রয়েছে, সেভাবে আসমানের ফেরেশতার জন্য ঈদের ২টি রাত রয়েছে () শবে বরাত আর () অন্যটি শবে কদর (মুকাশাফাতুল কুলুব, পৃষ্ঠা ৩০৩)

সারা বছরের গুনাহের কাফফারা

    ইমাম সুবুকি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: * জুমার রাত (অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) পুরো সপ্তাহের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায় * শবে বরাত সারা বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায় আর * শবে কদর সারা জীবনের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায় অর্থাৎ এই রাতগুলোতে আল্লাহ পাকের ইবাদত করা আর আল্লাহ পাকের স্মরণে জাগ্রত হয়ে ইবাদত করা গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যায় জন্য এই রাতগুলোকে কাফফারার রাত বলা হয় (মুকাশাফাতুল কুলুব, ৩০৩ পৃষ্ঠা)