Book Name:Ramzan Kaise Guzare
ব্যাখ্যা করতেন এবং তাঁদেরকেও বিভিন্ন নেক আমলের মানসিকতা প্রদান করতেন, রমযানের আগমনে তাঁর ইবাদতের কিরূপ অবস্থা হতো আসুন! শ্রবণ করি:
উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: যখন রমযান মাস আসতো তখন রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ পাকের ইবাদতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতেন এবং পুরো মাস নিজের বিছানায় তাশরীফ নিতেন না। (তাফসীরে দুররে মনসুর, ২য় পারা, বাকারা, ১৮৫নং আয়াতের পাদটিকা, ১/৪৪৯)
তিনি আরো বলেন: যখন রমযান মাস তাশরীফ নিয়ে আসতো তখন রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র রঙ মুবারক পরিবর্তন হয়ে যেতো, তিনি অধিকহারে নামায আদায় করতেন, প্রচুর কান্না করে করে দোয়া করতেন এবং আল্লাহ পাকের ভয় তাঁর মাঝে বিরাজ করতো।
(শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফিস সিয়াম, ৩/৩১০, হাদীস: ৩৬২৫)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিঃসন্দেহে রমযানুল মুবারক মাসে নেকীর প্রতিদান অনেক বেড়ে যায়, অতএব চেষ্টা করে অধিকহারে নেকী এই মাসে জমা করে নেয়া উচিৎ, কেননা কম সময়ে অধিক নেকী জমা করার জন্য এই মুবারক মাস থেকে উত্তম আর কোন মাস নেই।
হযরত ইব্রাহিম নাখয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: রমযান মাসে একদিনের রোযা রাখা ১০০০ দিনের রোযার চেয়ে উত্তম এবং রমযান মাসে একবার سُبْحٰنَ الله বলা এই মাস ব্যতীত সাধারণ মাসে ১০০০বার سُبْحٰنَ الله বলার চেয়ে উত্তম এবং রমযান মাসে এক রাকাত নামায পড়া রমযান ব্যতীত অন্য সময় ১০০০ রাকাত পড়ার চেয়ে উত্তম।
(তাফসীরে দুররে মনসুর, ২য় পারা, বাকারা, ১৮৫নং আয়াতের পাদটিকা, ১/৪৫৪)