Book Name:Ramzan Kaise Guzare
থেকে মুক্তির দোয়া করা, ইসলামী ভাইদের সাথে কল্যাণময় আচরণ করা, ধৈর্যের আঁচলকে ভালভাবে আকঁড়ে ধরা, অধিকহারে যিকির ও আযকার করা এবং অধিকহারে ইস্তিগফার করা, বিশেষকরে অন্যান্য নেকীর পাশাপাশি অধিকহারে কুরআনে করীমের তিলাওয়াতও করা, হায়! যদি আমরা রমযান মাসে অধিকাংশ সময় কুরআন তিলাওয়াতে ব্যস্ত থেকে অতিবাহিত করতে সফল হয়ে যেতাম, প্রিয় নবী, রাসূলে আবরী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রায় কুরআন তিলাওয়াতের উৎসাহও প্রদান করেন এবং এর ফযীলতও ইরশাদ করেন। আসুন! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র দু’টি বাণী শুনি:
১. ইরশাদ হচ্ছে: কুরআন পাঠকারীরা কিয়ামতের দিন আসবে তখন কুরআন বলবে: “হে দয়ালু প্রতিপালক! একে জান্নাতের পোশাক পরিধান করাও।” তখন তাকে সম্মানের জান্নাতী পোশাক পরিধান করানো হবে। কুরআন আরয করবে: “হে দয়ালু প্রতিপালক! এতে বৃদ্ধি করো।” তখন একে কারামতের মুকুট পরিধান করানো হবে। কুরআন আরয করবে: “হে দয়ালু প্রতিপালক! তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাও।” তখন আল্লাহ পাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। অতঃপর কুরআন পাঠকারীকে বলা হবে: “কুরআন পাঠ করতে থাকো এবং জান্নাতের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করতে থাকো আর প্রতিটি আয়াতের বিনিময়ে তাকে একটি করে নেয়ামত দান করা হবে। (তিরমিযী, কিতাবুল ফাযায়িলে কুরআন, ৪/৪১৯, হাদীস: ২৯২৪)
২. ইরশাদ হচ্ছে: আল্লাহ পাক কুরআন শ্রবণকারী থেকে দুনিয়ার বিপদাপদ এবং কুরআন পাঠকারী থেকে আখিরাতে বিপদাপদ দূর করে দেন। কুরআনে পাকের একটি আয়াত স্বর্ণের ভান্ডার থেকেও উত্তম, এর একটি আয়াত পাঠ করা আরশের