Book Name:Ramzan Kaise Guzare
রাতে একবার কুরআনে মজিদ খতম করতেন আর রমযানুল মুবারকে প্রতি তিনরাতে একবার খতম করতেন এবং শেষ দশকের প্রতি রাতে একবার কুরআন খতম করতেন। (সিয়রে আলামুন নিবালা, কাতাদা বিন দিমাআ, ৬/৯৫, নম্বর ৭৪৬। হিলইয়াতুল আউলিয়া, কাতাদা বিন দিমাআ, ২/৩৮৫, নম্বর ২৬৫৫) (৫) হযরত সাআদ বিন ইব্রাহিম যুহরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ রমযানুল মুবারকে একুশ, তেইশ, পঁচিশ, সাতাশ এবং উনত্রিশতম দিনে ততক্ষণ পর্যন্ত ইফতার করতেন না, যতক্ষণ কুরআনে করীম খতম করে নিতেন না, মাগরিব ও এশার মাঝখানে আখিরাতের চিন্তাভাবনা করতে থাকতেন এবং প্রায় ইফতারের সময় মিসকিনদের ডাকতেন যাতে তারাও তাঁর সাথে খাবার খায়।
(হিলইয়াতুল আউলিয়া, সাআদ বিন ইব্রাহিম আয যুহরী, ৩/১৯৯, নম্বর ৩৬৯৫)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা রমযান মাসে কুরআনে পাক তিলাওয়াত করার ব্যাপারে বুযুর্গানে দ্বীনদের কার্যাবলী সম্পর্কে শুনলাম, এবার রমযান মাসে ঐসকল মনিষীর ইবাদতের অবস্থাও শুনুন।
বুযুর্গানে দ্বীন ও ইবাদতের আগ্রহ
এক বুযুর্গ হযরত আবু বকর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমরা রমযানের রাত সমূহে ইবাদত করে ফিরে আসতাম তখন খাদিমদেরকে দ্রুত খাবার আনার জন্য বলতাম, এই ভয়ে যে, ফজর উদিত হয়ে যাবে না তো।
(তাহারাতুল কুলুব ওয়াল হুযুউ লিআলাতুল গুয়ুব, ১৫৭ পৃষ্ঠা)
হযরত ইব্রাহিম বিন আদহাম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র ব্যাপারে বর্ণিত আছে: তিনি রমযান মাসে দিনের বেলা ফসল কাটতেন এবং রাতে (নফল) নামায পড়তেন, তিনি ৩০ দিন এমনভাবে অতিবাহিত করতেন যে, না রাতে ঘুমাতেন না দিনে। (হিলইয়াতুল আউলিয়া, ইব্রাহিম বিন আদহাম, ৭/৪৩৫, নম্বর ১১১১৭)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! আমাদের পূর্ববর্তী বুযুর্গগণ রমযানুল মুবারক মাসের আগমনের সাথেসাথেই ইবাদতে মশগুল হয়ে যেতেন এবং অধিকহারে কুরআনে করীমের