Book Name:Ramzan Kaise Guzare
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! ঐ নেককার রাখালের আল্লাহর প্রতি কিরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো যে, যখন শুধু তার পরহেযগারীতার পরীক্ষা নিতে গিয়ে তাকে বলা হলো: টাকা নিয়ে একটি ছাগল আমাকে দিয়ে দাও, মালিককে বলে দিও যে, এই ছাগলটি নেকড়ে খেয়ে নিয়েছে, তখন সেই রাখাল এরূপ প্রতারণা করা থেকে বিরত রইলো যে, আমার দয়ালু আল্লাহ পাক আমাকে দেখছেন, আফসোস! আমাদেরও যদি এই মানসিকতা তৈরী হয়ে যেতো, আমাদেরও যদি শয়তান কখনো আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা করতে উদ্বুদ্ধ করে তবে আমরাও এই বিশ্বাসের সহিত অবাধ্যতার কাজ থেকে বিরত থাকি যে, আমাদের দয়ালু প্রতিপালক আমাকে দেখছেন। এই ঘটনা থেকে এটাও জানা গেলো! আল্লাহ ওয়ালাগণ রোযা রাখার প্রতি এমন আগ্রহী থাকতেন যে, প্রচন্ড গরমের দিনেও আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জনের জন্য নফল রোযাও ছাড়তেন না। এ থেকে বিশেষকরে ঐসকল ইসলামী ভাইদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ, যারা রমযানুল মুবারকেও শরীয়তের কোন অপারগতা ছাড়া রোযা রাখে না বা শুরুর দিকের কয়েকটি রোযা রেখে অবশিষ্টগুলো ছেড়ে দেয়। রমযানের ন্যায় বরকতময় মাসেও ইবাদত ও নেক কাজ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। হায়! রমযানুল মুবারকের পবিত্র মূহুর্তে যেন আমাদের অধিকহারে ইবাদত ও প্রবল আগ্রহ সহকারে অতিবাহিত করা ও রমযানুল মুবারকের রোযা রাখা নসীব হয়ে যায়। আসুন! রমযানের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং রোযা ফরয হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ পাকের বাণী শ্রবণ করি:
২য় পারা সূরা বাকারার ১৮৫নং আয়াতে আল্লাহ পাক কুরআন অবতীর্ণ হওয়া ও রমযানের রোযার ব্যাপারে ইরশাদ করেন: