Book Name:Ramzan Kaise Guzare
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ
(পারা ২, সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: রমযানের মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হেদায়ত ও পথনির্দেশ এবং মীমাংসার সুস্পষ্ট বাণীসমূহ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই সেটার রোযা পালন করে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই পবিত্র আয়াতে আল্লাহ পাক রমযান মাসের একটি বিশেষত্ব বর্ণনা করেছেন আর তা হলো: এই মুবারক মাসে কুরআনে করীম অবতীর্ণ হয়েছে এবং এই বিশেষত্বের পাশাপাশি রমযানে রোযা রাখার আদেশও ইরশাদ করেছেন। মনে রাখবেন! তৌহিদ ও রিসালতকে স্বীকার করা এবং দ্বীনের মৌলিক বিষয়াবলীর প্রতি ঈমান আনয়নের পর যেমনিভাবে প্রত্যেক মুসলমানের উপর নামায ফরয ঘোষনা করে দেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে রমযান শরীফের রোযাও প্রত্যেক মুসলমান (পুরুষ ও নারী) বিবেকবান ও প্রাপ্তবয়স্কের উপর ফরয। দুররে মুখতারে রয়েছে: রোযা ২য় হিজরীর দশ (১০) শাবানুল মুয়াযযমে ফরয হয়েছে। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, কিতাবুস সওম, ৩/৩৮৩)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! রমযানুল মুবারকের সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো রোযা, অতএব সকল ইসলামী ভাই এখন থেকেই অন্যান্য নেকীর পাশাপাশি রমযান মাসে নিয়মিত রোযা রেখে অতিবাহিত করার নিয়্যত করে নিন। হাদীসে মুবারাকায় রমযান মাসের রোযার অগণিত ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে, আসুন! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র দু’টি বাণী শ্রবণ করি।